ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কলম্বাসের সেই চিঠি স্পেনকে ফিরিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
কলম্বাসের সেই চিঠি স্পেনকে ফিরিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র কলম্বাসের সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে চুরি হয় ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি দুর্লভ চিঠি। প্রায় ৫০০ বছর আগের এই চিঠিতে আমেরিকায় সমুদ্রযাত্রার বর্ণনা করেছিলেন কলম্বাস। চুরি যাওয়া চিঠিটি শেষ পর্যন্ত খুঁজে বের করে স্পেনে ফিরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ওয়াশিংটনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো মরিনেসকে কলম্বাসের দুর্লভ চিঠিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যার্টনি ডেভিড ওয়েইস একটি বিবৃতিতে বলেন, আমরা সত্যিই সম্মানিত।

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিটি এর প্রকৃত মালিক স্পেনের কাছে আমরা ফেরত দিতে পেরেছি।  

দুর্লভ এই চিঠিতে স্পেনের রাজা ফার্দিনান্দ এবং রানি ইসাবেলাকে আমেরিকার সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন কলম্বাস। ধারণা করা হয়, আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করার সময় চিঠিটি লেখা হয়।

বার্সেলোনার কাতালোনিয়া জাতীয় গ্রন্থাগারে জালিয়াতির মাধ্যমে চিঠিটি প্রতিস্থাপন করা হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চিঠিটি উদ্ধার করে।

মার্কিন অ্যার্টনি জ্যামি ম্যাককেল জানিয়েছেন, ইতালিতে জন্মগ্রহণ করা কলম্বাস চিঠিটি স্প্যানিশ ভাষায় লেখেন। ১৪৯৩ সালে ইউরোপে ফেরার পর তিনি এই চিঠিটি লেখেন। ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলার অর্থায়নে কলম্বাস আমেরিকার এই সমুদ্রযাত্রা করেন। আমেরিকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা চিঠিটি পরে ল্যাটিনে অনুবাদ করার জন্য রোমে পাঠানো হয়।

ম্যাককেল আরও জানান, এই চিঠিটির অনেকগুলো প্রতিলিপি করা হয়। পরে ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলা চিঠিগুলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করেন যাতে সবাই কলম্বাসের আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে পারে।  

চিঠিগুলোর একটি ল্যাটিন কপিতে ক্যারিবিয়ানে দেখা পাহাড়, উর্বর ভূমি, সোনা এবং সেখানকার অধিবাসীদের বর্ণনা করেন কলম্বাস। বার্সেলোনার গ্রন্থাগার থেকে এই কপিটিই চুরি যায়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১১ সালে তারা বুঝতে পারে চিঠিটি হারিয়ে গেছে। ২০১২ সালে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন যে চিঠিটি চুরি গেছে। । আসল চিঠিটি ২০০৫ সালের নভেম্বরে ৬ লাখ ইউরোর বিনিময়ে দুইজন ইতালিয়ান বই বিক্রেতার পাচার হয়ে যায়। ।  

২০১৩ সালে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২০১১ সালে আবারও বিক্রি হয়েছিল চিঠিটি। এবারের লেনদেনের অংকটা ছিল ৯ লাখ ইউরো। চিঠিটি যার হাতে ছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই ব্যক্তি চিঠিটির হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতেন না বলে জানান।  

চিঠি চুরির বিষয়টি নিয়ে এখনও অনুসন্ধান চলছে, ম্যাককেল জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।