ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

এক রোহিঙ্গা পরিবারকে ফেরত নেওয়ার দাবি মিয়ানমারের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এক রোহিঙ্গা পরিবারকে ফেরত নেওয়ার দাবি মিয়ানমারের ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। তবে জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত নয়।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।  

শনিবার (১৪ এপ্রিল) মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাঁচ সদস্যের এক মুসলিম পরিবার সকালে রাখাইনের তানজিপিওলেটওয়া অভ্যর্থনা কেন্দ্রে এসেছে।

 

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিবাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে। সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের চাল, মশারি, কম্বল ও পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রত্যাবাসনের জন্য যাচাই-বাছাই শেষে ওই পরিবারকে মিয়ানমারে প্রবেশের আগেই ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে আরও জানানো হয়।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চলমান প্রক্রিয়ায় তাদের নিবন্ধনের অংশ হিসেবে এনভিসি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমার। তবে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা এই কার্ডকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আজীবন শরণার্থী করে রাখার পাঁয়তারা বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার শুরু গত বছরের ২৫ আগস্ট। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি মুসলমান’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।  তাদের বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশটি। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।

বিভিন্ন সংস্থার জরিপ মতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।  

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দুই বছরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে দুটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইন এখনও প্রস্তুত নয়।

সম্প্রতি সেখানে সফর করে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল। সফর শেষে জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উরসুলা মুয়েলার জানান, সেখানে স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা আর অব্যাহত স্থানচুত্যির ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য এই পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

তবে জাতিসংঘের এই সংশয়কে পাত্তা না দিয়ে  প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে নেপিদো প্রথম রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।