ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

রাখাইন সীমান্তে বেড়া দিতে মিয়ানমারের নতুন বরাদ্দ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
রাখাইন সীমান্তে বেড়া দিতে মিয়ানমারের নতুন বরাদ্দ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা একটি বিপন্ন রোহিঙ্গা পরিবার। ছবি-সংগৃহীত

মিয়ানমার তার রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর বেড়া নির্মাণ করে চলেছে। বেড়ার বাকি অংশের নির্মাণকাজের জন্য দেশটির পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার দেড় কোটি ডলারের (১৫ মিলিয়ন)   একটি বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

শুক্রবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত বরাবর বেড়া নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত প্রকল্পখাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।

মিয়ানমারের প্রভাবশালী এমপি মাইয়ো জ আউং জানান, এই বাজেট প্রস্তাবটি পেশ করেছে যৌথভাবে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত মন্ত্রণালয়।

শেষোক্ত মন্ত্রণালয়টিকে সরাসরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সর্বময় ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনী।

দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল অং সোয়ে জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ২৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ২০২ কিলোমিটার বরাবর বেড়া নির্মাণ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে তার পেছনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।

উল্লেখ্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের উগ্রপন্থি একটি অংশ মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য নিজেদের তহবিল থেকে ৫০ লাখ ডলার দিয়েছে।

চরম মুসলিম বিদ্বেষী এই বৌদ্ধদের একটি বড় অংশ রোহিঙ্গা নিধনের সমর্থক। রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত জাতিগত নির্মূল অভিযান ও ব্যাপক ধর্ষণযজ্ঞে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের এই অংশটি সরাসরি অংশ নেয়।  

মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ জনগোষ্ঠি এবং ক্ষমতাসীন সরকার, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনী এমনকি বৌদ্ধ ভিক্ষু সবারই মধ্যে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ তীব্র। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি ব্যাপক বৈষম্য, নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার। তাদেরকে নাগরিক হিসেবেই স্বীকার করা হয় না। ক্রমাগত নিপীড়ন নির্যাতনের এ পর্যায়ে এসে দেশটির সরকার, সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে। নারীদের ব্যাপক হাবে ধর্ষণ করা হয়। এই নৃশংস অরাজক পরিস্থিতিতে গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও ছিল সাড়ে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।