ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ম্যাকডোনাল্ডসের চিজ বার্গারে আসক্ত ট্রাম্প

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
ম্যাকডোনাল্ডসের চিজ বার্গারে আসক্ত ট্রাম্প ম্যাকডোনাল্ডসের চিজ বার্গার তার নিত্যসঙ্গী। এমনকি বিমানযাত্রাকালেও। ফাইল ছবি

ঢাকা: দুনিয়া এখন ট্রাম্পময়। তার উল্টোপাল্টা স্বভাব আর যে কোনো বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্যের বাতিক  সব সময়ই তাকে সংবাদের শিরোনাম করে রাখে। তবে এবার তিনি শিরোনাম হয়েছেন ম্যাকডোনাল্ডসের চিজ বার্গারপ্রীতির জন্য। এদের চিজ বার্গারের প্রতি তার অত্যাসক্তির কথা জানিয়েছেন তারই ছোট মেয়ে টিফ্যানি ট্রাম্প (২৪)।

কেবল সেলিব্রেটিদের নিয়ে নিউজ করে থাকে এমন একটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম দিয়েছে এ খবর। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন মুলুকে হৈচৈ ফেলে দেয়া বই ‘Fire and Fury: Inside the Trump White House’-এ সাংবাদিক মাইকেল উলফ দাবি করেন, ম্যাকডোনাল্ডসের চিজ বার্গারের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যারপরনাই আসক্ত।

সেলিব্রেটি নিউজ ওয়েবসাইট টিএমজি (TMZ) সোমবার (০৮ জানুয়ারি) মাইকেল উলফের দাবি আসলেই সত্য কিনা, জানতে চায় ট্রাম্পতনয়া টিফ্যানির কাছে। টিফ্যানি তাদের হ্যাঁ-সূচক জবাব দিয়ে বলেন, সত্যিই তার বাবা চিজ বার্গার দারুণ পছন্দ করেন।

উল্লেখ্য, টিফ্যানি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে ছোট মেয়ে।   

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ফেইক নিউজ অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়।

ট্রাম্পের ব্যাপারে উলফের বইয়ের যেসব অবমাননাকর দাবি করা হয়েছে, সেসবের দু’একটি নিয়েও টিফ্যানিকে প্রশ্ন করা হয়। অন্যসব প্রশ্নের ব্যাপারে টিফ্যানির মনের অবস্থা যা-ই থাকুক, চিফ বার্গারের প্রসঙ্গটি যখন টানা হয়, তখন টিফ্যানির জবাব ছিল সহাস্য: ‘দ্যাটস হোয়াট হি ডাজ। হি লাভস ম্যাকডোনাল্ডস। ’

ট্রাম্পতনয়া টিফ্যানিতবে উলফের সব দাবি মানেননি টিফ্যানি। হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্প প্রতিরাতে ফাস্টফুড সাবাড় করেন, এমন বক্তব্যে দ্বিমত প্রকাশ করেন তিনি।

মাইকেল উলফ তার বইয়ে দাবি করেছেন, ঘুমাতে যাওয়ার আগেও টিভি দেখতে দেখতে ফাস্টফুড খাওয়ার বাতিক আছে ট্রাম্পের।
উলফের বইটি এখন আমেরিকাজুড়ে হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে। বইটির কাটতি এমনই অবিশ্বাস্য যে, ওয়াশিংটন ডিসির ক্র্যামার বুক স্টোরের সব বই মাত্র ২০ মিনিটেই শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বইতে ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্য নন বলেও দাবি করা হয়েছে।
এসব কারণে দারুণ ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বইটির প্রকাশ ঠেকিয়ে দিতেও চেষ্টা করেন। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।