ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

গণধর্ষণ চালিয়েছে মিয়ানমার সেনারা, ফের বললো এইচআরডব্লিউ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
গণধর্ষণ চালিয়েছে মিয়ানমার সেনারা, ফের বললো এইচআরডব্লিউ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী; কোলে শিশু, ছবি: বাংলানিউজ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিগত নিধনে’ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নারীরা সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপকহারে ধর্ষণ, গণধর্ষের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নতুন করে এক বিবৃতিতে তারা এ কথা জানিয়েছে। ইতোপূর্বে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও এ বিষয়ে বলেছিল।

আশ্রয় নেওয়া নারীরাও দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ধর্ষিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

সহিংসতায় যৌন নিপীড়নের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা প্যাটেন সম্প্রতি কক্সবাজার সফর করে জানান, রাখাইনে আগস্টের অভিযানের সময় রোহিঙ্গা নারীদের ওপর গণধর্ষণসহ নানা ধরনের যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা।

তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিজেদের তদন্তে দাবি করেছে, হত্যা ও ধর্ষণের মতো কিছুই তারা করেনি। সেনারা সবাই নির্দোষ। উগ্র ও সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা নিজেরাই বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পাশের দেশে ভেগেছে।

যদিও তার পরপরই যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কোনো অভিপ্রায় নেই। তারা প্রকাশ্য মানবতাবিরোধী অপরাধকে অস্বীকার করে দিলো।

অপরাধী সেনাদের বিষয়ে এখন বিশ্বকেই একটা সিদ্ধান্তে আসতে বলে বলে সংস্থাটি বলেছে। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের। এজন্য জাতিসংঘ দ্রুত উদ্যোগ নিতে পারে।

এইচআরডব্লিউর নারী অধিকার বিষয়ক গবেষক স্কাই হুইলার বলেছেন, আশ্রয় শিবিরে নতুন করে ৫২ জন নারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এরমধ্যে ২৯ জনই ধর্ষণের শিকার। তাদের বেশিরভাগ গণধর্ষণ বা একাধিকবার ধর্ষণের মুখোমুখি হয়েছেন।

তিনি এও মন্তব্য করেছেন, মিয়ানমার সেনারা ধর্ষণের মধ্য দিয়ে জাতিগত নিধনকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার নারীরা মানসিকভাবেও আঘাতপ্রাপ্ত বলে মত দেন তিনি।

এদিকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করতে এই জনগোষ্ঠীর নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন হলিউডের নন্দিত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কানাডার ভ্যানক্যুভারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কমিটি ও বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন জোলি। সেখানে যৌন সহিংসতাকে তিনি নিপীড়কদের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ধর্ষণ, নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করার সুপারিশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাখাইনে যেসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তার ওপর স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত চালাতে হবে। মিয়ানমারে সফরের গিয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।