ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

রাখাইনে নৃশংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ চাইলো জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
রাখাইনে নৃশংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ চাইলো জাতিসংঘ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই দুই রোহিঙ্গা শিশুর ভবিষ্যৎ কী?

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলতে থাকা নৃশংসতা অবিলম্বে থামাতে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের দুই বিশেষ উপদেষ্টা।

বিশ্ব সংস্থাটির গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ইভান সিমোনোভিচ এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি বেশ ক’বছর ধরেই পর্যবেক্ষণ করছিলেন এই দুই জাতিসংঘ কর্মকর্তা।

তারা এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারকে নানা সময়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে রাখাইনে জাতিগত নৃশংসতা শুরু হতে পারে।

সে বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের দুই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবারের (১৯ অক্টোবর) বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মকর্তারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এলেও আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার, ব্যর্থ হয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীটিকে নৃশংসতা থেকে রক্ষায়ও। ’

এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতাকেও সমানভাবে দায়ী করেন জাতিসংঘের আদামা দিয়েং ও ইভান সিমোনোভিচ।

এ দুই উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে সহিংসতা থামাতে এবং উপদ্রুত এলাকায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে উত্থাপিত সুপারিশমালাকেও স্বাগত জানান।

গত ১৭ অক্টোবর) জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান ‍শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত রাখাইন থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে প্রায় ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আদামা দিয়েং ও ইভান সিমোনোভিচ তাদের বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নৃশংসতা বন্ধে ব্যর্থতা আমাদেরও অপরাধী করে তুলছে। আর কখনো ঘটবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি বারবার দিয়ে এসেছি, সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সামর্থ্য আমাদের কবে তৈরি হবে?’

জনগোষ্ঠীগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হলেই কেবল মিয়ানমারে শান্তি ও উন্নয়ন অগ্রগতি লাভ করবে বলে জানান জাতিসংঘের এই দুই উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।