ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

‘বাবরির মতো ধ্বংস হতে পারে তাজমহলও’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
‘বাবরির মতো ধ্বংস হতে পারে তাজমহলও’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এবার মুঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের সমাধি তাজমহল নিয়ে মুখ খুললেন উত্তর প্রদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। 

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, বাবরি মসজিদের মতো তাজমহলও ধ্বংস হতে পারে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটাই জানা গেছে।

 

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সংগীত সোম বলেন, ‘তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতিতে কলঙ্কের চিহ্ন। ’ মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন তাজমহলের নাম বদলে ‘তেজো মহল’ করার দাবি তুলেছেন বিজেপির আরেক সংসদ সদস্য ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনয় কাটিয়ার।  

তার দাবি, মন্দির ভেঙেই তাজমহল বানানো হয়েছে। বিজেপির আরেক নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, যে জমিতে তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে সেই জমিটি জয়পুরের রাজাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান।  

তিনি বলেন, আমার হাতে নথি আছে, যা থেকে স্পষ্ট যে জয়পুরের রাজা–মহারাজাদের তাজমহলের জমিটি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিলেন শাহজাহান।  

‘ক্ষতিপূরণ বাবদ সেই রাজাদের ৪০টি গ্রাম দেওয়া হয়েছিল। যা কোনোভাবেই ওই জমির দামের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ’ 

দেশজুড়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতাদের এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের জের ধরে এবার মুখ খুলেছে সমাজবাদী পার্টি।  

আশঙ্কা প্রকাশ করে দলটির নেতা আজম খান বলেন, ‘যদি বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়, তা হলে দেশে কোনো সৌধই ভেঙে ফেলা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো দিন তাজমহল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। দেশের কোনো স্থাপনাই এখন নিরাপদ নয়। ’

সমাজবাদী পার্টির এই নেতা বলেন, ‘রাম মন্দিরের নামে যারা বাবরি ভাঙতে পারে, তারা সবই করতে পারে। তাজের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে বলেই ওই স্থাপনা এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। ’

সংগীত সোমের তাজমহল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর ভারত জুড়ে নানা আলোচনা-সেমালোচনা শুরু হয়। অস্বস্তিতে পড়ে ক্ষমতাসীন বিজেপিও।  

বিষয়টি বিধায়কের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলেও দায় এড়িয়েছেন দলটির নেতারা। বোল পাল্টে কথা বলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।