ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের নেতৃত্ব নিয়ে বুশ-ওবামার কণ্ঠে তীব্র তিরস্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
ট্রাম্পের নেতৃত্ব নিয়ে বুশ-ওবামার কণ্ঠে তীব্র তিরস্কার জর্জ ডব্লিউ বুশ, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বারাক ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ ঝরেছে সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামার কণ্ঠে। ঝরেছে তীব্র তিরস্কারও।

ট্রাম্পের আগের দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বদেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ‘ভয়ভীতি’ ও ‘বিভাজনের’ রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করতে। আর ওবামার আগের দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্ট বুশ সমালোচনা করেছেন জনজীবনে ‘হানাহানি ও কুসংস্কার’ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পৃথক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্রেটিক পার্টির ওবামা এবং ট্রাম্পেরই দল রিপাবলিকান পার্টির বুশ অবশ্য তাদের বক্তৃতায় প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেননি।

নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বুশ বলেন, গোঁড়ামি প্রশ্রয় পাচ্ছে। ষড়যন্ত্র ও পুরোপুরি মিথ্যার ওপর ভর করে আমাদের রাজনীতি আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন কমে যাওয়ার নিদর্শন দেখা যাচ্ছে, বিশেষত তরুণদের মধ্যে। ... এর কারণ রাজনীতির কারণে জনজীবনে ‘হানাহানি ও কুসংস্কার’ ছড়িয়ে পড়ছে।

কয়েক ঘণ্টা পর নিউজার্সির নিওয়ার্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, আমেরিকানদের উচিত পুরো বিশ্বকে জানানো যে, আমরা বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি, আমরা ভয়ভীতির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি।

শতবছর আগের বিভাজনের রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্রে চলতে পারে না জানিয়ে দুই দফার এ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এখন এমন রাজনীতি দেখছি, মনে হচ্ছে (রাজনীতি) অসুস্থতায় ফিরে গেছে। ...এটা একুশ শতক, উনিশ শতক নয়। সবাই ভাবুন।

বিগত দুই প্রেসিডেন্টই এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের নীতির ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করা এড়িয়ে গেছেন। তবে গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দলের প্রেসিডেন্ট বুশ এবং ওবামার কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের প্রেসিডেন্সিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে শাসনামল বলেও অভিহিত করেছেন বিভিন্ন সময়।

জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের নানা নীতি ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ ধরনের আলোচনা তৈরির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন গণমাধ্যমকে।  
সবচেয়ে প্রভাবশালী একটি গণমাধ্যমকে ‘ফেক নিউজ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ট্রাম্পের শাসনামলে অভিবাসনবিরোধী বিভিন্ন নীতিগ্রহণ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় সাবেক নেতাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভেরই কিয়দাংশ প্রকাশ পেলো বুশ ও ওবামার বক্তৃতায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।