ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

সু চি ভাষণেও মিথ্যাচার করলেন: অ্যামনেস্টি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
সু চি ভাষণেও মিথ্যাচার করলেন: অ্যামনেস্টি সু চি ভাষণেও মিথ্যাচার করলেন: অ্যামনেস্টি

মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও ‘মিথ্যাচার’ করে গেলেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, এমনই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানী নাইপিদোতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণের পর প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি এ কথা বললো।

রাখাইনে তদন্ত চালাতে চায় জাতিসংঘ

রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয়ে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চির এতোদিন চুপ থাকায় সমালোচনা হচ্ছিল।

তবে তিনি ভাষণ দিলেন, যা নিয়ে বিতর্ক কম হচ্ছে না। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তিনি বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এমন মত অ্যামনেস্টির।

অ্যামনেস্টির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ বলেছেন, মিয়ানমার সরকার এখনও সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের ব্যাপারে অসত্য কথা বলার মাধ্যমে সু চি এটাই প্রমাণ করলেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী যে জাতিগত নিধনের কাজ করে যাচ্ছে তার প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। সু চি যে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন এটা ইতিবাচক হলেও তিনি এখনো নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে নীরব রয়েছেন।

মিয়ানমারের যদি কিছু লুকানোর না থাকে, তাহলে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান কমিটিকে তদন্তের জন্য দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হোক বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

এখন পর্যন্ত সু চি সরকার সহিংসতা বিষয়ে ‘বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছে’ বলেও মত তাদের।  

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন চার লাখ নয় হাজার। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে।

ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭/আপডেট ১৮০০ ঘণ্টা
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।