ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার সেনাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
মিয়ানমার সেনাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব মিয়ানমার সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি চাপ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ।

জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানানো হয়।

মানবাধিকার সংগঠন এইচআরডব্লিউ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান অত্যাচারের শাস্তিস্বরূপ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত অভিযান চালাচ্ছে। যা বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

এদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি।

তার ভাষণ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। রাখাইনে চলমান সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মুখ খুলবেন তিনি। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সু চি বলেছিলেন, সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতেই সেনা অভিযান চলছে। রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কোনো হামলা চালানো হচ্ছে না।

কাদের ‘শান্তির আহ্বানে’ ভাষণ দেবেন সু চি?

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন চার লাখ নয় হাজার। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা ১০ হাজার পার করেছে।

ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।