ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কুয়ালালামপুরে ধর্মীয় স্কুলে আগুন, ২৩ ছাত্রসহ নিহত ২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
কুয়ালালামপুরে ধর্মীয় স্কুলে আগুন, ২৩ ছাত্রসহ নিহত ২৫ আগুনে পোড়া স্কুল ঘর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মালয়েশিয়ার এক ধর্মীয় স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ জনই ছাত্র। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আগুনে পুড়ে চেহারা বিকৃত হয়ে পড়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের দাতুক কেরামাত সড়কের ওই স্কুলটির তৃতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, আগুনে পোড়া ফ্লোরে মরদেহগুলো একটার ওপরে আর একটা স্তূপ হয়ে পড়ে ছিলো।

অগ্নিকাণ্ডের সময়ে সেখানে ৬ শিক্ষকসহ ৩৬ জন থাকলেও বাকিরা উদ্ধার পেতে সক্ষম হয়। তবে উদ্ধার পাওয়াদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফায়ার বিভাগ বলছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘরটিতে মাত্র ১টি দরোজা ছিলো। খুব সম্ভবত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিলো ওই দরোজাতেই। তার চেয়েও বড় কথা, প্রতিষ্ঠানটি চলছিলো নিবন্ধন ছাড়াই।  

আগুনে পোড়া স্কুল।  ছবি: সংগৃহীতফায়ার বিভাগ এসব নিবন্ধনহীন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ১০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছোটবড় ২১১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেকর্ড আছে তাদের কাছে।

সর্বশেষ গত আগস্টের গোড়ার দিকে মালয় উপদ্বীপের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কেদাহতে পারিবারিক মালিকানায় পরিচালিত এক ধর্মীয় স্কুলে ৮ ছাত্রসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে মে মাসে কুয়ালালামপুরের পাশে সেলানগরে এক ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে কেদাহ রাজ্যের আর একটি ধর্মীয় স্কুলের কাঠের হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ায় ৫১৯টি নিবন্ধনভুক্ত ধর্মীয় স্কুল রয়েছে। কিন্তু নিবন্ধনহীন ব্যক্তি ও পারিবারিক মালিকানার অবৈধ স্কুলের সংখ্যা  আরো বেশী। তাই বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার মতো আরো অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

দাতুক কেরামাত রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পরিচয় শনাক্তের জন্য মরদেহগুলো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিন এ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের স্বজনরাও সেখানে ভিড় করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭/আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা
জেডএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।