ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

লালুর পাতে বালু, সরকার গড়ছে বিজেপি-জেডিইউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
লালুর পাতে বালু, সরকার গড়ছে বিজেপি-জেডিইউ ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা: সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিহার রাজ্যে সরকার গঠনের স্বপ্ন আর ফল পাচ্ছে না। তার আশার পাতে বালুই পড়ছে!

বুধবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় পদত্যাগ করা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সরকার গঠনে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।

বিজেপির সিনিয়র নেতা সুশীল মোদি জানিয়েছেন, নীতিশ কুমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং খুব দ্রুতই রাজ্য গভর্নরের সঙ্গে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হবে।

বিজেপি নীতিশকে সমর্থন এবং তার নেতৃত্বেই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজেপির রাজ্যপ্রধান নিত্যানন্দ রায় ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাতেই নীতিশের বাসায় গিয়েছেন সুশীল মোদি।

বিহার অধিবেশনের ২৪৩ আসনের মধ্যে নীতিশ কুমারের জনতা দল (সংঘবদ্ধ) এর ৭১ আসন। বিজেপির ৫৩ আসন তার সঙ্গে যুক্ত হলে তা হবে ১২৪ অর্থাৎ অধিবেশনে অর্ধেকের বেশি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। আর তা দিয়েই নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব।

বিজেপি আগে থেকেই নীতিশকে সব ধরনের বাইরের সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছিল। এবার সে সমর্থনকে আরো মজবুত করে জনতা দলের সরকারের যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিল দলটি।

বুধবার সন্ধ্যায় গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাত করে বিহার মুখ্যমন্ত্রী যখন পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন, তখনি সে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় নীতিশকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দেবার জন্য নীতিশ কুমারকে অসংখ্য অসংখ্য অভিনন্দন। লাখো লাখো নাগরিক এই সততাকে স্বাগতম ও সমর্থন জানাচ্ছে। পদত্যাগের পরই পরবর্তী করণীয় কি তা ঠিক করতে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।

বুধবার লালু যাদব যখন পুনরায় জানান দিলেন যে তার ছেলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হলেও তার ছেলে তেজস্বী যাদব পদত্যাগ করবেন না। এ ঘটনার টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গিয়ে নীতিশ বলেন, বিবেক আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছে।

পুরনো মিত্র বিজেপির সঙ্গে জোট করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিহারের জন্য যা ভালো হবে আমরা তার জন্যই সিদ্ধান্ত নেব।  

কয়েক বছর আগেই দীর্ঘদিনের পুরনো মিত্র বিজেপির জোট থেকে বেরিয়ে আসে নীতিশের দল। ২০১৫ সালে বিহারের নির্বাচনে বিজেপির জয় ঠেকাতে কংগ্রেস ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষ লালু যাদবের সঙ্গে জোট গড়ে জনতা দল (সংঘবদ্ধ)। তবে এ জোটে যোগ দিয়ে খুব একটা স্বস্তি পাননি নীতিশ। বিশেষ করে মুদ্রামূল্য, নতুন জিএসটি সার্ভিসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদলসমূহের বিজেপি সরকারের সমালোচনা ভালোভাবে নিতে পারেনি জনতা দল। এ পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসার একটা মোক্ষম সুযোগ করে দিয়েছে লালু যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
জিওয়াই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।