ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

বিশ্বকে ১ লাখ টনি যুদ্ধজাহাজের বার্তা ট্রাম্পের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
বিশ্বকে ১ লাখ টনি যুদ্ধজাহাজের বার্তা ট্রাম্পের বিশ্বকে ১ লাখ টনি যুদ্ধজাহাজের বার্তা ট্রাম্পের

সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের নৌ-বহরে এ যাবতকালের সবচাইতে বড় যুদ্ধ জাহাজের উদ্বোধন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতে দারুণ আপ্লুত দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের এই সুবিশাল বিমানবাহী রণতরীটি বানাতে খরচ করা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পুনরায় কোনোরকম জ্বালানি গ্রহণ ছাড়াই পরমাণুশক্তিচালিত রণতরীটি ২০ বছর অভিযান চালাতে সক্ষম।  

সামরিক এ শক্তির জানান দিতে শনিবার (২৩ জুলাই) ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের নরফোকে জাহাজটির উদ্বোধনী বা কমিশনিং অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, পুরো বিশ্বের প্রতি একটি ১ লাখ টনি বার্তা পৌঁছে দিল যুক্তরাষ্ট্র।

 

তিনি বলেন, যখন জাহাজটি জল কেটে দিগন্তরেখায় আবির্ভূত হবে তখন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা স্বস্তির নিঃশাস ফেলবে আর আমাদের শত্রুরা ভয়ে কম্পমান হবে। কেননা সবাই জানবে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসছে এবং প্রচণ্ড শক্তি নিয়েই আসছে।  

উত্তর এশিয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীতে এ বিমানবাহী এই অতিকায় রণতরীটি যুক্ত হলো। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও এ অঞ্চলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে চাচ্ছে দেশটি। সম্প্রতি চীনও দক্ষিণ চীন সাগরে তার দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ও সর্বাধুনিক ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করেছে। হংকংকে চোখ রাঙাতে লিয়াওনিং নামের  অন্য একটি বিমানবাহী রণতরী এবং সুদূর ইউরোপে বেশ ক’টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে নিজের শক্তিমত্তার প্রকাশ ঘটাল চীন। কম সময়ের ব্যবধানে চীন এমনটা করলো।  

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে জেরাল্ড ফোর্ড নামের এই সুবিশাল রণতরীকে তার নৌবহরে অন্তর্ভূক্ত করলো যখন বৈরী দেশ উত্তর কোরিয়া দিনকয় আগে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় আঘাত হানতে সম্ভব। পাল্টা জবাব হিসেবে হাওয়াইয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  

বিশ্বের সবচে সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্থান ধরে রেখেছে।
প্রশান্তমহাসাগরে সে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির বিপুল সংখ্যক মারণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
অঞ্চলটিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন সেনার নেতৃত্বদানকারী অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক বক্তৃতায় বলেন, চাইলে আজ রাতেই সবচাইতে সেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো বাহিনীর সঙ্গে লড়ার জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১১টি সচল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে এবং আরো জাহাজ বানানো হচ্ছে। সে তুলনায় চীন তার নৌবহরে সবেমাত্র দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরীটি সংযোজন করলো। আর এটি এখনো যুদ্ধের জন্য পুরো প্রস্তুতও নয়। এজন্য আরো বছয় কয় অপেক্ষা করতে হবে চীনকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
জিওয়াই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad