ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে ১৪ বাঙালি প্রার্থী কে কত ভোট পেলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৭
যুক্তরাজ্যে ১৪ বাঙালি প্রার্থী কে কত ভোট পেলেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও মেরিনা আহমেদ

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী ও রূপা হক। যথাক্রমে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন, বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো ও ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে লড়াই করা এই তিন নারী রাজনীতিকই বিরোধী দল লেবার পার্টির হিসেবে নির্বাচনে নামেন।

নির্বাচনে টিউলিপ, রুশনারা ও রূপা ভোট পেয়েছেন ক্রমানুসারে ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট, ৪২ হাজার ৯৬৯ ও ৩৩ হাজার ৩৭ ভোট। এটা টিউলিপ ও রূপার টানা দ্বিতীয় জয়, আর রুশনারার তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বাংলাদেশি এই তিন কন্যা ছাড়াও লড়েছিলেন আরও ১১ বাংলাদেশি। তবে তাদের কেউ জয় পাননি। কেউ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। কেউ হয়েছেন তৃতীয় বা চতুর্থ।

নির্বাচনে ওয়েলউইন অ্যান্ড হ্যাটফিলড আসনে লেবার পার্টি থেকে লড়েছেন আনোয়ার মিয়া। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫ ভোট। সেখানে জিতেছেন কনজারভেটিভ পার্টির গ্র্যান্ট শ্যাপস।

বেকেনহাম আসনে লেবার পার্টি থেকেই লড়েছেন আরও এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। মেরিনা আহমেদ নামে ওই বাঙালি কন্যা নির্বাচনে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪৫ ভোট। এখানে জিতেছেন কনজারভেটিভ পার্টির বব স্টিওয়ার্ট। মেরিনা এর আগের নির্বাচনেও লড়েছিলেন ‍আসনটিতে।

থানেট সাউথ আসনে লেবার পার্টি থেকে লড়েছেন মেরিনা রওশন আরা নামে আরেক বাংলাদেশি কন্যা। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭৫ ভোট। এ আসনে ২৫ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে জিতে গেছেন কনজারভেটিভ পার্টির ক্রেইগ ম্যাককিনলে।

এডিনবার্গ সাউথ ওয়েস্ট আসনে লেবার পার্টি থেকে লড়ে ফয়সাল চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশি প্রার্থী হয়েছেন তৃতীয়। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ২১৩। ১৭ হাজার ৫৭৫ ভোট বেশি পেয়ে জিতেছেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোয়ান্না চেরি।

পোর্টস মাউথ নর্থ আসনে লেবার পার্টি থেকে লড়ে বাংলাদেশি রুমেল খান পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৫ ভোট। এখানে জিতেছেন কনজারভেটিভ পার্টির পেনি মোরডন্ট। তার প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ৮৬০।  

ওয়াইর ফরেস্ট আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে লড়াই করেছেন বাংলাদেশি সাজু মিয়া। তৃতীয় হওয়া সাজুর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৯৪৩। এ আসনে জিতেছেন কনজারভেটিভ মার্ক গার্নিয়ার।

লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত রুশনারা আলীর বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো ‍আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন আজমল মাশরুর নামে আরেক বাংলাদেশি। রুশনারার ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোটের বিপরীত আজমল পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৮ ভোট।

পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে ১ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়েছেন অলিউর রহমান। ভোটপ্রাপ্তিতে তার অবস্থান চতুর্থ। এ আসনে জিতেছেন লেবার পার্টির জিম ফিজপ্যাট্রিক। তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৫৮ ভোট।  

বার্মিংহাম ইয়ার্ডলি আসনে লড়েছেন আবু নওশাদ নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিক। স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া নওশাদ পেয়েছেন ১০০ ভোট। এখানে জিতেছেন লেবার পার্টির জেস ফিলিপস। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৮ ভোট।

এছাড়া ইস্ট হাম আসনে লড়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি। এখানে ফ্রেন্ডস পার্টির প্রার্থী চৌধুরী আফজাল পেয়েছেন ৩১১ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো মির্জা রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। আসনটিতে জিতেছেন লেবার পার্টির স্টিফেন টিমস। তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১২৪ ভোট।

সবশেষ খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। সরকার গঠনে এখন তাদের জোট গঠন করতে হবে। ৬৫০ সংসদীয় আসনের মধ্যে সরকার গঠনে দরকার হয় ৩২৬ আসন। ঘোষিত ৬৪৭ আসনের ফলাফলে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩১৬ আসন। আর বিরোধী জেরেমি করবিনের লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১ আসন। বিগত পার্লামেন্টে কনজারভেটিভদের ৩৩১ আসন ছিল। ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে আকস্মিক আগাম নির্বাচন ডাকেন ব্রেক্সিটের পর প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পাওয়া টেরিজা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।