মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিটিআরসিতে এক বৈঠকে গ্রামীণফোনের এসএমপির বিষয়ে আলোচনা করে কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ানোর একটা বিষয় আলোচনা হয়েছে।
কী পরিমাণ বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ পয়সা বাড়তে পারে।
বৈঠকের কার্যপত্র বের হলেই সেটি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা। আর বিটিআরসির সিদ্ধান্ত অপারেটরটিকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এসএমপি বা সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা সম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসেবে ঘোষণার পর গত ১৭ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সভায় গ্রামীণফোনের ওপর নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বর্তমানে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কলরেট হলেও অপারেটর ভেদে কলরেট ভিন্নতা রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিটিআরসি তাৎপর্যপূর্ণ বাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোনকে চার দফা নির্দেশনা দেয়। করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ের মধ্যে ছিল, এমএনপি লক ইন পিরিয়ড ৩০ দিন প্রযোজ্য হবে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র এবং একক সত্ত্বাধিকার চুক্তি সম্পাদন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাসিক কল ড্রপের সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশ। দেশব্যাপী কোনো প্রকার মার্কেট কমিউনিকেশন কোনো মাধ্যমে করা যাবে না।
এসএমপি ঘোষণার পর অপারেটরটি বলছিল, সাফল্যের বাধা হিসেবে নয়, এসএমপির নির্দেশনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বাজার প্রতিযোগিতা তৈরি করা। বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের জন্য গ্রামীণফোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিল। আলোচনার পর ১৯ মার্চ বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দেয় বিটিআরসি।
এরআগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করে বিটিআরসি। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এসএমপি প্রবিধানমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। এর মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ