ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশ চাঁদেও যাবে, সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
বাংলাদেশ চাঁদেও যাবে, সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ছবি-পিআইডি

ঢাকা: বাংলাদেশ একদিন মহাশূন্য জয় করবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাও একদিন সেই স্পেসে (মহাশূন্যে) চলে যাবো। আমরা একদিন জয় করবো, চাঁদের দেশেও পৌঁছে যেতে পারবো।

তিনি বলেন, আগে চাঁদের দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। এখন চাঁদের দেশে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গাজীপুর ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
 
বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। আজকে বিশ্বটা আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। রকেটটা যথাস্থানে ফিরে এসেছে।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই দু’টি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে স্যাটেলাইট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হলো।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দু’টির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন।
 
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দু’টির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রীর প্রস্তাবকে গ্রহণ করে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দু’টির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করা হয়।
 
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। মুজিব থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে পৌঁছে গেছি।
 
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুর থেকে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক মহাকাশে থাকা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গতিবিধি ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এখন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে সংকেত পাঠানো হচ্ছে এবং সফলভাবে স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করছে। সেখান থেকে ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিংয়ের কাজ হচ্ছে এবং পুরো সিস্টেমটিকে টেস্ট করা হচ্ছে।
 
সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব টেস্ট ও ট্র্যাকিংয়ের কাজ সফলভাবে শেষ করার পর যেকোনো সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কমার্শিয়াল অপারেশনে (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) যাবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ উদযাপন এবং গাজীপুর ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এমইউএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।