ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

আর্থিক সংকটে টেলিটক, ফোর-জিতে আসতে আরও ৪ মাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৮
আর্থিক সংকটে টেলিটক, ফোর-জিতে আসতে আরও ৪ মাস

ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক আর্থিক দৈন্যদশায় ভুগছে। বেসরকারি অন্যান্য মোবাইল অপারেটর কোম্পানি যেখানে ফোর-জি সেবা চালু করার পর বাস্তবায়নে যাচ্ছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক আরও চার মাস সময় চায়। তারা আগামী আগস্টের মধ্যে ফোর-জি সেবা চালু করবে বলে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে। যদিও এই সময়ের মধ্যেও তাদের ফোর-জি সেবা চালু নিয়ে সন্দিহান কমিটি।
 
 

রোববার (১ এপ্রিল) বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনায় আসে টেলিটকের বিষয়টি। কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন) এবং কাজী ফিরোজ রশীদ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
 
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বাংলানিউজকে বলেন, টেলিটককে ফোর-জি সেবা চালু করার জন্য বলা হয়েছে। তারা আগামী আগস্টের মধ্যে এই সেবা চালু করবে বলে জানিয়েছে।  

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু করলেও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কেন চালু করতে পারেনি, জানতে চাইলে রতন বলেন, তারা আর্থিক সংকটে আছে। এই সেবা চালু করতে হলেও তো টাকার দরকার।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের ফোর-জি কার্যক্রম চালু করার প্রেক্ষিতে টেলিটকের নিজস্ব অর্থায়নে (প্রায় ২০০ কোটি প্রাক্কলিত ব্যয়) বিভাগীয় শহরে ফোর-জি সেবা চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১১০০টি সাইটে ফোর-জি ‘ই-নোড বি’ স্থাপন করা হবে। এই সেবা চালু করার লক্ষ্যে বর্তমান ব্যাকবোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী আগস্টে ফোর-জি সেবা চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
 
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ভিওআইপি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম চালানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে বিটিআরসির গঠিত কমিটি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে আসছে। ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮৩টি অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপি অভিযানের মাধ্যমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ২১৫টি সিম জব্দ করা হয়।
 
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের অনুমোদিত কলরেট সর্বনিম্ন ০.২৫ টাকা থেকে ২.০০ টাকা নির্ধারণ করা আছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্যাকেজের গড় কলরেট ০.৫৮ টাকা। বাংলাদেশে ২০০১ সালে গড় কলরেট ছিল ৯.৬০ টাকা, যা বর্তমানে প্রায় ৯.০২ টাকা কমেছে। সর্বোচ্চ ১০ সেসেন্ড পালস চালু করায় মোবাইল গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলতে পারছেন।  

কমিটি দেশের সব জেলায় ইন্টারনেট চার্জ সমান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে বৈঠকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এসএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।