ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ফোর-জি সেবার তরঙ্গ নিলাম মঙ্গলবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
ফোর-জি সেবার তরঙ্গ নিলাম মঙ্গলবার

ঢাকা: চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট সেবার জন্য তরঙ্গ নিলাম করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকা ক্লাবে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
 
২১০০ মেগাহার্টজ, ১৮০০ মেগাহার্টজের জন্য তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

তরঙ্গ কেনার পরে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সেবার মান বাড়াতে পারবে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
 
গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক তরঙ্গ নিলামে অংশ নিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে বিটিআরসি, সংশ্লিষ্ট অপারেটর দু’টিও। নিলামের পর সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। এ নিয়ে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবে গ্রামীণফোন।
 
গত ১৪ জানুয়ারি বিটিআরসি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, নিলামের জন্য বেইজ প্রাইস হিসেবে ২১০০ মেগাহার্টজে প্রতি মেগাহার্টজের জন্য ধরা হয়েছে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের জন্য ধরা হয়েছে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখান থেকে নিলাম শুরু হবে।  
 
বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে টুজি সেবা ৯০০ মেগাহার্টজ ও ১৮০০ মেগাহার্টজে দেওয়া হয়। আর থ্রিজি সেবা ২১০০ মেগাহার্টজে দেওয়া হয়। ২১০০ মেগাহার্টজে যে থ্রিজি সেবা দেওয়া হয় সেখানে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দেওয়া আছে। অর্থাৎ এই তরঙ্গে ফোরজি, টুজি সেবাও দিতে পারবে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
 
সেবার মান বাড়াতে অপারেটররা আরো তরঙ্গ কিনবে বলে আশা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। নিলামের পর মার্চের মধ্যে দেশে ফোর-জি সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
 
চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ফোর-জি সেবার জন্য টেলিটক, সিটিসেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন ও রবি আবেদন করে। আর তরঙ্গ নিলামের জন্য বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি ও সিটিসেল আবেদন জমা দেয়। সিটিসেলের নিলামে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিটিআরসি জানায়, তাদের বকেয়ার বেশিরভাগ পরিশোধ করেছে। তরঙ্গ গ্রহণের পর সিটিসেলকে ফোর-জি লাইসেন্স নিতে হবে।
 
ফোর-জি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলামের জন্য আবেদন আহ্বান করে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি। নিলামের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৯ নভেম্বর দুই গাইড লাইনের অনুমোদন দেন। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর আপত্তি নিষ্পত্তি করে নিলাম প্রক্রিয়া চলছে।
 
ফোর-জি’র জন্য লাইসেন্স আবেদন ফি পাঁচ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। লাইসেন্স এক্যুইজেশন ফি ১৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১০ কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি সাড়ে সাত কোটি টাকা থেকে কমিয়ে পাঁচ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। আর ব্যাংক গ্যারান্টি ১৫০ কোটি টাকা।
 
কনভার্সন ফি ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজে তরঙ্গ এক ধাপে রূপান্তর করলে চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। আংশিক রূপান্তর করলে পড়বে ৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
প্রাথমিকভাবে ফোর-জি'র ডাটা স্পিড ২০ এমবি (মেগাব‍াইটস পার সেকেন্ড) রাখা হয়েছে। তবে বিটিআরসি সময়ে সময়ে স্পিড পরিবর্তন করতে পারবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।