ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

তিন বছরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলালিংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
তিন বছরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলালিংক তিন বছরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বাংলালিংক/ছবি: রানা

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে একটি সহায়ক নীতিমালার আওতায় আগামী তিন বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বাংলালিংক।

বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিয়নের সিইও জন ইভস সার্লিয়ার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
 
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সোনারগাঁও হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের সিইও এরিক অস।


 
জন ইভস বলেন, ভিওন বাংলালিংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে ভিওন বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু করা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায়।
 
ভিওন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলালিংক এ পর্যন্ত আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। জাতীয় তহবিলে বাংলালিংকের অবদান দুই দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
সম্প্রতি খসড়া ফোরজি ও তরঙ্গ বরাদ্দ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অবস্থান প্রসঙ্গে জন ইভস বলেন, এর মাধ্যমে একটি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করার কাঠামো তৈরি হয়েছে, যা উন্নত ডিজিটাল সার্ভিস ও গ্রাহক সেবা দিতে সহায়ক হবে।
 
ভিওন মনে করেন টেলিযোগাযোগ খাতে অসামঞ্জস্য কর হার এবং তরঙ্গের উচ্চমূল্যের সম্মিলিত অর্থনৈতিক চাপ বিনিয়োগের অন্তরায় এবং তা বিবেচনায় নিয়ে আসা উচিত।
 
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয় যে, করের চাপ ও প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের মূল্য বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ। এটি দেশব্যাপী থ্রি-জি এবং ফোর-জি চালুর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে। যা উন্নত গ্রাহক সেবার অন্তরায় বলে মনে করেন ইভস।
 
দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় তরঙ্গ নেওয়ার জন্য বাংলালিংক নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী- জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এটি বাংলালিংকের একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গ্রাহক সেবাদানের বাধ্যবাধকতা ও দেশব্যাপী উন্নততর সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে।
 
বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়ে ভিওন বলেন, সর্বোচ্চ মানের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নে টেলিকম ব্যবসার কর্মপন্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
 
এরিক অস বলেন, বাংলালিংক বিশ্বাস করে এ পদক্ষেপে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে টেলিকম টাওয়ার, যা এতোদিন অপারেটরদের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত ছিল তা পূর্বের ন্যায় গুরুত্ব বহন করে না।
 
এই উদ্দেশে বাংলালিংক টাওয়ার ব্যবসায় অধিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণে বিশ্বাসী। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলালিংক তার টাওয়ার বিক্রয় করতে পারবে। যার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মূলধন অবমুক্ত হবে এবং তা তরঙ্গ অধিগ্রহণ, নেটওয়ার্ক এবং অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেশিরভাগ টেলিকম অপারেটরদের অ্যাকটিভ রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের অনুমতি দেয়। এছাড়া টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি এবং এর পরবর্তী প্রযুক্তিতে শেয়ারিং চালু করা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হবে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং ফোরজি কাভারেজকে বর্তমানের টু-জি বা থ্রি-জির সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 
একটি কার্যকরী ফোরজি স্ট্রাটেজি প্রবর্তন করে সরকার স্থিতিশীল, গ্রাহকবান্ধব, প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবন সহায়ক এবং বিনিয়োগবান্ধব কর্মসূচি প্রয়োগের মাধ্যমে তার নিয়ন্ত্রক বিষয়গুলোকে আরো অগ্রসর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন জন ইভস।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।