ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ই-কনটেন্ট উন্নয়নে দেশীয় উদ্যোক্তারা পুরস্কৃত

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১০
ই-কনটেন্ট উন্নয়নে দেশীয় উদ্যোক্তারা পুরস্কৃত

জাতীয়ভাবে ৯ আগস্ট প্রথমবার দেশীয় ই-কনটেন্ট এর উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ‘ন্যাশনাল ই-কনটেন্ট অ্যান্ড আইসিপি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১০’ দেওয়া হয়। সোমবার ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষে ছিলেন ডি.নেট চেয়ারপারসন তৌফিক আহমেদ চৌধুরি এবং ডি.নেট এর নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান। আরও ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক এম আর খান ছাড়াও বরেণ্য অনেক গুণী ব্যক্তি।

প্রধান অতিথি আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এ মুহূর্তে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে দুই বছরে অনেক অগ্রসর হয়েছে। ২০২১ সালের আগেই এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন পুরোপুরি সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাছাড়া গ্রাম পর্যায়ে ৪০০ থেকে ৫০০টি তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র উন্মুক্ত করার কথাও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, তরুন প্রজন্মই তথ্যপ্রযুক্তির মূল চালিকা শক্তি। আর তাদের উৎসাহিত করতে প্রয়োজন সবার পৃষ্ঠোপোষকতা। অধ্যাপক জাফর ইকবাল প্রকল্প নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ উদ্ভাবনা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলে। তাই সবার উচিত তাদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসা।

ডি.নেট এর নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান ভবিষ্যতে ই-কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় শ্রেণীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান।
 
উল্লেখ্য, মনোনয়নযোগ্য মোট ৯৩ টি শ্রেণীর মধ্যে চুড়ান্ত প্রতিযোগীতার তালিকায় আসে ৪২টি। চূড়ান্ত বিজয়ী হয় ১৪টি শ্রেণীর অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক কনটেন্ট। তালিকায় স্থান পায় সরকারি, বেসরকারি ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ের ই-কনটেন্ট সেবা। প্রত্যেক শ্রেণী থেকে স্থানভিত্তিক পুরস্কারসহ সনদপত্র দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ন্বনামখ্যাত ব্যক্তির নামে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিচারক মন্ডলীদেরকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা পুরস্কার। বিজয়ীরা পুরস্কারের সঙ্গে পাবেন ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড ২০১১’ প্রতিযোগিতায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ।

ই-কনটেন্ট এর বিজয়ী বিভাগগুলো হচ্ছে ই-গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইন্সটিটিউশন, ই-হেলথ, ই-লার্নিং অ্যান্ড এডুকেশন, ই-গেমস, ই-এন্টারটেইনমেন্ট, ই-নিউজ, ই-বিজনেস অ্যান্ড কমার্স ছাড়াও অন্য সব ই-সেবাযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রতিযোগীয় জ্ঞানভিত্তিক সহায়তা করেছে ডিজিটাল ইমপাওয়ারম্যান্ট ফাউন্ডেশন। মূল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত আছে ভারত ও অস্ট্রিয়া। আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং বিডি জবস।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।