ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পকেটের চিন্তা ভুলে কলকাতায় শপিং!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
পকেটের চিন্তা ভুলে কলকাতায় শপিং! কলকাতার নিউমার্কেটে কেনাকাটা। ছবি: মুন্না

কলকাতা থেকে ফিরে: জোরকদমে দলে দলে নিউ মার্কেটে ঢুকছে মানুষ। শপিং পাগল কেউ কেউ সকাল ১০ টার আগেই এসেছেন ব্যস্ত বিকিকিনির বাজারে। আর আসবেনই না কেন, কলকাতার নিউ মার্কেটে তো সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে। রকমারি জামাকাপড় আর গয়না ছাড়াও জনপ্রিয় হরেক খাবারের দোকান আছে বিশালায়তন এই মার্কেটে। কেনাকাটার ফাঁকে তাই পছন্দের স্ন্যাকস আর ড্রিঙ্কস ছাড়াও ভারী খাবার খেয়ে চাঙ্গা হয়ে নেওয়ার সুযোগ এখানে অবারিত।

কলকাতার এ মার্কেটে বেশি আসক্ত শপিংয়ে তৃপ্তি খোঁজা বাংলাদেশিরা। শুধু মার্কেট নয়, কলকাতার রাস্তায় ঘুরে শপিং করার মজাও আলাদা।

পকেটের চিন্তা না করেই যেখানে শপিং করে আর খেয়ে মজা সে শহরের নাম কলকাতা।

কলকাতায় ভ্রমণ ও চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে এ ধারণাটা আরো পোক্ত হলো। সবার এক কথা, কম দামে পছন্দের জিনিস কিনতে কলকাতা সত্যিকারের উৎকৃষ্ট স্থান।

সরেজমিনে দেখা গেলো, মেগা শপিং মলের এসির হাওয়ায় দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ প্যান্ট, শার্ট, শাড়ি, কুর্তা থেকে শুরু করে হরেক পদের ঝলমলে পোশাক কিনছেন। বিগবাজার, রিলায়েন্স ট্রেন্ডি, বাজার কলকাতা, সিটি মার্কেটসহ শহরের বড় বড় শপিং মলগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে বাংলাদেশের ঈদের বাজারের মতো চলেছে  কেনাকাটা। কলকাতার বিখ্যাত জুতোর দোকান শ্রী লেদার্সে তো আবার পা ফেলার জায়গা নেই। কলকাতার স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান থেকেও অনেকেই ছুটে এসেছেন কলকাতায়। কলকাতার নিউ মার্কেট।  ছবি: মুন্না

চৈত্রের এই প্রচণ্ড গরমেও অনেক ভিড় কাশ্মীরি শালের দোকান ১২৫, ১২২ ও ১২৩ নিউমার্কেটের কাশ্মীর শাল অ্যাম্পোরিয়ামে। কলকাতার প্রথম কাশ্মীরি শালের দোকান এটি। জগৎ বিখ্যাত পশমিনা শাল এই দোকানের প্রধান আকর্ষণ। যে কারণে যারা কলকাতায় আসছেন তারা এ দোকান থেকে সংগ্রহ করছেন কাশ্মীরের আসল কাশ্মীরি শাল।

খুলনা থেকে কলকাতায় আসা শামীম হোসেন বলেন, পকেটের চিন্তা না করেই কলকাতায় শপিং করছি। কেননা এখানে জিনিস ভালো, আর দামও কম।
তিনি বলেন, বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কলকাতায় জামাকাপড় পাওয়া যায়৷ তাই এখানে বেড়াতে এসে কেনাকাটা করছি। আমার মতো অনেক বাংলাদেশি শুধু কেনাকাটা করতে কলকাতায় এসেছেন৷ দেশের অনেকের সঙ্গে বাজারে দেখা হয়েছে।

সরফরাজ নামে অপর এক বাংলাদেশি বলেন, কলকাতার জনপ্রিয় জুতো-ব্যাগের শপিংমল শ্রী লেদার্সে এসেছি চামড়ার আসল জুতা, বেল্ট ও ব্যাগ কিনতে।
বেড়াতে আসা আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি জানান, জামা কাপড় কসমেটিক্স থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যা খুশি মন ভরে কেনা যায় কলকাতার মার্কেট থেকে। যে কারণে পকেট খালি করে কিনেছি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বাংলাদেশের বিত্তবানদের অনেকেই কেনাকাটা করতে যান কলকাতায়। এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্তরাও ছুটছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহরটিতে। কলকাতার নিউ মার্কেট।  ছবি: মুন্না

কলকাতার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কলকাতার চাঁদনী চক হিসাবে বিখ্যাত, বড় বাজারে সব চাহিদার অবসান হয়। তাছাড়া, বাজারে জিনিসের দাম ঠিকঠাক এবং রকমারি জিনিস থেকে পছন্দ করা যায়।

অনুরূপভাবে গড়িয়াহাট, কি কে মার্কেট, মেট্রো প্লাজা, বর্দান মার্কেট, হাতিবাগান, শিয়ালদহ বাজার, ঢাকুরিয়া মার্কেট, গড়িয়াহাটের সাউথ সিটি মলে লাইন দিয়ে জামাকাপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনছেন সবাই।

নিউ মার্কেটের চাকসি দোকানের বিক্রেতা তুষার পান্ডে বাংলানিউজকে বলেন, কলকাতাকে কেনাকাটার স্বর্গোদ্যান বলা হয়। কেননা এখানে সব কিছুই পাওয়া যায় সাধ্যের মধ্যে।

এস এস হগ মার্কেটের দোকানি শিলা সাহা জানান, শুধু ড্রেস নয় চকলেট, মশলা, পারফিউম, কসমেটিকসহ সব ধরনের প্রসাধনী সস্তায় পাওয়ায় যায় এ মার্কেটে। যে কারণে বাংলাদেশিদের টান এ মার্কেটের প্রতি।

নিউ মার্কেটের জে বিহারী ক্লথের বিক্রেতা ভারাত ভাই বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক সেলিব্রেটি এ মার্কেট থেকেই ঈদ-পূজায় কেনা কাটা সারেন।

বাংলাদেশ সময়:  ১২০০  ঘণ্টা,  মার্চ ২৮, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।