ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

অঙ্গ প্রতিস্থাপনে নতুন দিগন্ত গ্রিন করিডর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
অঙ্গ প্রতিস্থাপনে নতুন দিগন্ত গ্রিন করিডর

কলকাতা: গত কয়েক বছরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে জীবন বাঁচাতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে কলকাতার গ্রিন করিডর ব্যবস্থা। কলকাতার আগে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতে প্রাণ বাঁচানো হয়েছে একাধিক রোগীর। সম্প্রতি কলকাতাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা এসেছে।

গ্রিন করিডর পদ্ধতি হলো যান চলাচলের একটি বিশেষ ব্যবস্থা। গোটা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়।

এ পদ্ধতিতে এক বা একাধিক রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য সিগন্যালের সব সবুজ আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাড়ি ওই রাস্তায় না থেমে দ্রুত গতিতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে।

কয়েক বছর ধরে হাসপাতালে কোনো রোগীর ‘ব্রেন ডেথ’ হলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রিন করিডর ব্যবহার করা হচ্ছে। মানবশরীরের এমন কিছু অঙ্গ থাকে যেগুলো সময় মতো প্রতিস্থাপন কিংবা সংরক্ষণ করা না হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন দরকারি পরীক্ষার পরে যদি ইতিবাচক ফল আসে তবে দাতার শরীর থেকে অঙ্গগুলি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দ্রুত প্রতিস্থাপন কর‍া হয় গ্রহীতার শরীরে। এজন্য অঙ্গগুলি এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়।

ট্রাফিক পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ‌পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তৈরি করা হয় গ্রিন করিডর। সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি বিশেষ রুট ঠিক করা হয়। যে রাস্তা দিয়ে গেলে দ্রুত এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পৌঁছ‍ানো সম্ভব। ঠিক যে মুহূর্তে এক হাসপাতাল থেকে অঙ্গ নিয়ে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স যাত্রা শুরু করে তখন থেকে সামনের রাস্তাগুলির আলো সবুজ করে দেওয়া হয়। এতে খুব কম সময়ে ও বিনা বাধায় অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যায় অন্য হাসপাতালে।

কলকাতায় ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম গ্রিন করিডর ব্যবহার করে দুই কিডনি রোগীর প্রাণ বাঁচানো হয়। এরপর গত বছর একই পদ্ধতিতে কয়েকজন কিডনি রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পেরেছেন কলকাতার চিকিৎসকরা।

এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এ পদ্ধতির মাধ্যমে আগামীতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। চিকিৎসকদের মতে গ্রিন করিডর মানুষের প্রাণ বাঁচাতে একটি মানবিক পদ্ধতি হিসেবে সামনে এসেছে। বিশেষ করে কিডনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে। বিশ্ব কিডনি দিবসে সংশ্লিষ্টরা এটাকে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
ভিএস/আরআর/টিআই
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad