ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

দেশে ফিরলেন বিষণ্ণ তামিম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
দেশে ফিরলেন বিষণ্ণ তামিম নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে এলেন তামিম ইকবাল। ছবি: বাংলানিউজ২৪

ঢাকা: ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন ঠিক বিকেল ৫টা বেজে ৩০ মিনিট। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে অগণিত সংবাদমাধ্যমের ভীড়। উৎসুক জনতারও কমতি নেই। বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে লাউঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাকে একনজর দেখতে ভীড় জমিয়েছেন। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে একহাতে ব্যাটিংয়ের বীরোচিত যে কীর্তি তিনি দেখিয়েছেন তাতে এমন ভীড় অস্বাভাবিক কিছু নয়।  

অবশেষে সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে বেরিয়ে এলেন লাল-সবুজের সেই বীর-তামিম ইকবাল।

এ যেন অন্য এক তামিম।

১৫ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে দুবাইয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে অমন বীরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেও চোখে মুখে তার হাসির লেশ মাত্র নেই। ভীষণ গুরুগম্ভীর। মনে হচ্ছিলো কেউ যেন হাসি খুশিতে ভরা অবয়বে বিষণ্ণতার কালিমা লেপটে দিয়েছেন। কারণটাও যে অনেক বড় বেদনার। এশিয়া কাপের চলতি আসরটি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেছে তার। দেড় মাসের মতো থাকতে হবে মাঠের বাইরে।

বাঁহাতের কব্জিতে আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না তাই কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে করতে হবে না তার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। আগামী দুই সপ্তাহ বিশ্রামের পর যদি হাড়ের জোড়া ঠিকমতো লাগে তাহলে রক্ষা। না হলে ছুরি কাচির নিচে যেতেই হবে তাকে।

স্লিংয়ে ঝুলান হাত নিয়ে লাউঞ্জ থেকে হেঁটে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতেই টেলিভিশন ক্যামেরার আলোয় ভেসে গেল পুরো ফ্লোর। ফটো সাংবাদিকদের ক্লিক ধ্বনিতে মুখরিত হলো পুরো চত্বর। কিন্তু একচিলতে হাসি তার মুখের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো না!

ক্লান্ত শরীর, বিষণ্ণ মন তারপরেও বাধ্য ছাত্রের মতো দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে ইনজুরির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরলেন। প্রকাশ করলেন ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের হতাশা। বলেন, ‘সত্যি কথা এশিয়া কাপ নিয়ে আমার এবার অনেক বড় আশা ছিল। ব্যক্তিগতভাবেও। কিন্তু এভাবে প্রথম ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে ফিরে আসা ভালো লাগার কথা নয়। অবশ্যই অনেক অনেক হতাশ। এমন একটা ইনজুরি, অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। এখন উচিত যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসা। ’

‘ইনজুরির আপডেট যেটা আমরা ইংল্যান্ড থেকে পেয়েছি, সেটা হল এই মুহূর্তে কোন অপারেশনের দরকার নেই। প্রথম এক সপ্তাহ একটু ক্রিটিকাল। এক সপ্তাহ পর একটি এক্স-রে হবে। এক্স-রে'তে যদি দেখা যায় হিলিং ভালো হচ্ছে, তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর যদি দেখা যায় হিলিংটা একটু এদিক ওদিক হচ্ছে, তাহলে অপারেশনের দরকার হতে পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
 এইচএল/এমকেএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।