ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

গেইলের সেঞ্চুরিতে পাঞ্জাবের তৃতীয় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
গেইলের সেঞ্চুরিতে পাঞ্জাবের তৃতীয় জয় ছবি: সংগৃহীত

ক্রিস গেইলের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরিতে আইপিএলে তৃতীয় জয় তুলে নিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ১৫ রানে হারায় ঘরের মাঠে খেলা যুবরাজ-অশ্বিনরা।আর টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ পেল কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে হায়দ্রাবাদ।

মহালিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে।

জবাবে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি হায়দ্রাবাদ।

এর আগের গল্পটা অবশ্য অন্যরকমই। জানুয়ারিতে আইপিএল নিলামে দ্বিতীয় দফা অবিক্রিত থাকার পর তৃতীয়বার ক্রিস গেইলকে দলে নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে মজার কথা যাকে কেউই কিনতে চায়নি সেই ক্যারিবীয় দানবের ব্যাটেই চলতি মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পায় আইপিএল। এ ম্যাচে মাত্র ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত (১০৪) থাকেন এ বাঁহাতি তারকা।

গেইলের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব। অথচ এই গেইলকেই কিনা তার দলই প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামায়নি। কিন্তু সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। আর তৃতীয় ম্যাচে তো টি-টোয়েন্টির রেকর্ড ২১তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আইপিএলে গেইলের এটি আবার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আর কোনো ব্যাটসম্যানই আইপিএলে এতোগুলো সেঞ্চুরি পাননি।

৫৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ৬৩ বলে একটি চার ও ১১টি বিশাল ছক্কায় ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন গেইল। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন করুন নায়ার।

এর আগে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একই ম্যাচে প্রতিপক্ষ রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন। আরেক ম্যাচে রাজস্থান রয়েলসের ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসনও ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

গেইলের সেঞ্চুরির দিন বোলিংয়ে ম্লান ছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বাংলাদেশি বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে দুই ওভার করিয়েছেন অধিনায়ক উইলিয়ামস। আর তাতেই দিয়েছেন ২৮ রান। ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে এক উইকেট নেয়া ভুবেনশ্বর কুমার ছিলেন সেরা বোলার। রশিদ খান ৪ ওভারে। ৫৫ রানে একটি উইকেট নেন।

১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হায়দ্রাবাদ। দলীয় ১৪ ও ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন ঋদ্ধিমান শাহা। এর আগে ব্যক্তিগত শূন্য রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শিখর ধাওয়ান। ৫৪ (৪১ বলে) রান করে বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। আর শেষ দিকে ৪২ বলে মানিশ পান্ডে অপরাজিত ৫৭ রান করলেও জয় ধরা দেয়নি। ১২ বলে দুই ছয় ও এক চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।

পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুহিত শর্মা ও আন্দ্রে টাই।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সেঞ্চুরিয়ান গেইল।

এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে চলে এলো পাঞ্জাব। চার ম্যাচে ৩ জয় ও এক হারে তাদের পয়েন্ট ৬। হারলেও দ্বিতীয়স্থানেই রয়েছে হায়দ্রাবাদ। পাঞ্জাবের সমান তাদের জয় ও পরাজয়। আর ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।