ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

লন্ডন

প্যারিসে জাতীয় শোক দিবস পালিত   

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
প্যারিসে জাতীয় শোক দিবস পালিত    শোক দিবস পালিত

ঢাকা : শোক ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাস। 

বুধবার (১৫ আগস্ট) এ উপলক্ষে দূতাবাস ভবনে রাষ্ট্রদূত, প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

প্রথমে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর রাষ্ট্রদূত প্রবাসী শিশু-কিশোরদের এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতাসহ অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যসহ শাহাদাত বরণকারী সবার রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ ও দর্শনের উপর আলোচনা। আলোচনা পর্বে বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রাম এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।  

আলোচকবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আঠারো জন শাহাদাতবরণকারী সদস্যের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রবাসী বক্তারা।  

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার সমাপনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। একটি গর্বিত জাতি স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য সমগ্র জাতি তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ- চিরঋণী বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের অর্জনের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘সোনালী দিনগুলি’ প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ সময়:  ০২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮ 
টিআর/এমআইএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।