ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি গবেষককে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি গবেষককে গুলি করে হত্যা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে ফাদি আল-বাতস

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, গবেষক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্য ফাদি আল-বাতসকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুই হামলাকারী।

শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে একটি আবাসিক এলাকায় নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় ওঁৎ পেতে থাকা ওই দুই হামলাকারী তাকে গুলি করে।

ফাদির বাবা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করেছেন।

তিনি এটিকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ (অ্যাসাসিনেশন) আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে মালয়েশিয়ান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ফাদি আল-বাতস ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্য ছিলেন। গাজার সরকার চালানো হামাসের মুখপাত্র হাজেমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে হামাসের এক টুইটে বলা হয়েছে, ফাদি ছিলেন গাজা উপদ্বীপের জাবালিয়া থেকে বেড়ে ওঠা একজন তরুণ ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞ। ফাদিকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে টুইটে বলা হয়, ‘জ্বালানিখাতে বহুমাত্রিক অবদানের জন্য এই মহান বিজ্ঞানী অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ’ 

কুয়ালালামপুর পুলিশের কর্মকর্তা মনসুর লাজিম বলেন, ভোরবেলা ফাদির বাসভবনের সামনে অন্তত ২০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছিলো ওই দু’জন। তিনি বাসভবন থেকে ফজরের নামাজের জন্য বেরোতেই অন্তত ১০টি গুলি ছোড়ে তারা। মাথা ও দেহে চারটি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফাদি।

‘সন্ত্রাসী ঘটনা’সহ সব রকমের দৃষ্টিকোণ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান মনসুর লাজিম।

কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আনওয়ার আল-আঘা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফাদি যে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন, সেখানকার দ্বিতীয় ইমাম ছিলেন তিনি। আর মালয়েশিয়ায় বসবাস করছিলেন বিগত ১০ বছর ধরে।

তিন সন্তানের জনক ফাদির শনিবারই তুরস্কে একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে গত শুক্রবারও (২০ এপ্রিল) গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ সমাবেশে গুলি চালিয়ে আরও চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৩০ মার্চ থেকে চলা কর্মসূচিতে এ নিয়ে ৪৩ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের অধিকৃত জমিতে নিজেদের বসতি ফিরে পেতে গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিরা এ প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের সরাতে প্রথম থেকেই ভয়ঙ্করভাবে আগ্রাসী আচরণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।