ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

লন্ডন

লন্ডনে মুক্তির গান অনুশীলন অনুষ্ঠানে শেখ রেহানা

সৈয়দ আনাস পাশা, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
লন্ডনে মুক্তির গান অনুশীলন অনুষ্ঠানে শেখ রেহানা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লন্ডনে শত কণ্ঠে মুক্তির গান ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের....’ অনুশীলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।

লন্ডন: লন্ডনে শত কণ্ঠে মুক্তির গান ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের....’ অনুশীলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৮ ডিসেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘শত কণ্ঠে মুক্তির গান’।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এটিএন বাংলা ইউকে শাখ‍া। অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে অনুশীলন করছেন শিল্পীরা।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় শিল্পীদের উৎসাহ দিতে অনুশীলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ রেহানা। তিনি শিল্পীদের কণ্ঠে গান শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সেখানে দীর্ঘ আড়াইঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি। এসময় তিনি শিল্পীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন।

শতকণ্ঠে শিল্পীরা যখন একসঙ্গে গানটি অনুশীলন করছিলেন, ঠিক তখন দর্শক সারির পেছনে বসা শেখ রেহানা বর্তমানকে ফেলে ফিরে গিয়েছিলেন তার সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে, যখন গ্রামেগঞ্জে বাংলাদেশের লাখো মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হতো ‘মুজিবর’ নামের এ গানটি।

বহির্বিশ্বে এ প্রথম শত শিল্পী একসঙ্গে মুক্তির গান গেয়ে বাংলাদেশের বিজয় উৎসব উদযাপন করবেন।

পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ অনুষ্ঠানের অনুশীলন চলছিলো। এতে অংশ নিচ্ছেন- ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, লুসি রহমান, গৌরি চৌধুরী, আলাউর রহমান, ফজলুল বারী বাবু, মিতা তাহেরসহ  ব্রিটেনের খ্যাতিমান শিল্পীদের পাশাপাশি একশত নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা।

শত শিল্পী সমবেত কণ্ঠে যখন ‘বাধ ভেঙে দাও’, ‘কারার ওই লৌহকপাট’, ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’, ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায় এসকল গানগুলো যখন অনুশীলন করছিলেন তখন দর্শক সারিতে বসে উপভোগ করছিলেন শেখ রেহানা।

শিল্পীদের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছিলেন তিনি। 'শোন একটি মুজিবরের..’ গানটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটা আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠেন শেখ রেহানা। তার চোখ ছল ছল হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তার এ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য না করে ১৮ ডিসেম্বর মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কথা বলার আশ্বাস দেন।

শেখ রেহানা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহঙ্কার, হাজার বছরের শ্রেষ্ট অর্জন। এ অর্জনের প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দিতে শত কণ্ঠে মুক্তির গানের মতো অনুষ্ঠানগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। আমি এ অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।

এটিএন বাংলা ইউকে’র কর্ণধার হাফিজ আলম বক্স অনুষ্ঠানে এসে উৎসাহ দেওয়ায় শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনার উপস্থিতি জাতির জনকের স্পর্শের মতোই অনুভূত হচ্ছে আমাদের কাছে, কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি’।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এটিএন বাংলার উপস্থাপক উর্মি মাজহার, নিউজ সেকশনের মোস্তাক বাবুল ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রম‍ুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ওএইচ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।