ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মিটার স্থানান্তর: ব্যবস্থা না নিয়ে ‘মীমাংসা’র চেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৮
মিটার স্থানান্তর: ব্যবস্থা না নিয়ে ‘মীমাংসা’র চেষ্টা খুঁটিতে স্থাপন করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার। ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই বৈদ্যুতিক শিল্প মিটার অন্যত্র স্থানান্তর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, খুঁটিতে মিটার স্থাপনের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মীমাংসার চেষ্টা করছে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ।

 

স্থানীয় পল্লী বিদ্যু কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র বলছে, কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় কহিনুর নিটওয়্যার নামের কারখানায় একটি শিল্প মিটার রয়েছে।  

সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি না নিয়ে ওই মিটার একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে স্থানান্তর করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।  

পরে কোনাবাড়ী আঞ্চলিক অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মো. শিহাব হোসাইনকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।  

বরং ওই কারখানার মালিক মহসিন মিয়াকে শনিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, কোনাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের লাইনম্যান রানা প্রতাপ ও মালেক মিয়া কারখানার মালিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে মিটার স্থানান্তর করেছেন। খুঁটিতে স্থানান্তরের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।  

তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে লাইনম্যান রানা প্রতাপ বাংলানিউজকে বলেন, আমি কোনো টাকা নিইনি। তবে ওই কারখানারটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ওইসময় কারখানার কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে মিটারটি স্থানান্তর করে দিই। কিন্তু পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ফের নিজেরা মিটারটি বিদ্যুতের খুঁটিতে স্থাপন করে।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই কারখানার মিটারটি একটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির মধ্যে লাগানো হয়েছে। পাশেই চলছে নির্মাণ কাজ।

যোগাযোগ করলে পল্লী বিদ্যুতের কোনাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. শিহাব হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।  

‘ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অনুমোদন ছাড়া মিটার স্থানান্তর করা কারখানার কর্তৃপক্ষের উচিত হয়নি। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কিছু (সংবাদ প্রকাশ) না করাই ভালো। ’
 
মিটার স্থানান্তরের কথা স্বীকার করে কারখানার মালিক মহসিন মিয়া বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে এসেছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা মতো কাজ করছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
আরএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।