ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনে সেনা চায়, অথচ সেনা হাসপাতালে আস্থা নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
নির্বাচনে সেনা চায়, অথচ সেনা হাসপাতালে আস্থা নেই

ঢাকা: বিএনপি কথায় কথায় নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়, সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলে, অথচ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর হাসপাতালের ওপর (সিএমএইচ) কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

কারাবন্দি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে দলটির নেতাদের নানা অভিযোগের জবাবে তোফায়েল এ মন্তব্য করলেন।

সোমবার (১৮ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন তো খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। অনেকে তো মনে করছেন তিনি অসুস্থ নন। কারণ অসুস্থ মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এতো সময়ক্ষেপণ করতে পারেন না। রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর তাদের আস্থা নেই। তিনি একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী। সারাজীবন সিএমএইচে চিকিৎসা নিয়েছেন, সেনানিবাসে বসবাস করেছেন, অথচ এখন সেই সেনা হাসপাতালেই তার আস্থা নেই।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দি অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া নিয়ে বিএনপির উদাহরণ টানার বিষয়ে তোফায়েল বলেন, শেখ হাসিনার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তখনকার কারা কর্তৃপক্ষ। শেখ হাসিনা সেখানে (জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা) বন্দি ছিলেন, সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতাল কাছে থাকায় তাকে ওখানে নেওয়া হয়েছিলো। এখানে শেখ হাসিনার কোনো চয়েজ ছিলো না। সিএমএইচে অ্যালাও করলে কেউ স্কয়ারে যায় না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তোফায়েল আহমেদ
নিজের বন্দি জীবনের কথা উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, আমি যখন বন্দি ছিলাম তখন ডা. দ্বীন মোহাম্মদ আমাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সিএমএইচে রেফার করেছিলেন। আমার মেয়ের জামাই ডা. তৌহিদুর রহমান আমাকে সেখানে ভর্তি করার সব ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তারা যখন জানতে পারলো আমি আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, তখন তারা আমাকে ভর্তি নেয়নি। এমন কি জামিনও দেয়নি, চিকিৎসার জন্য বিদেশও যেতে দেয়নি।

ঈদের পরে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সম্পর্কে তোফায়েল বলেন, সরকারকে সরানোর মতো আন্দোলনের সক্ষমতা বিএনপির নেই। তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায়, তা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সহায়ক সরকারের বিষয়েও বিশ্বে কোনো কিছু শোনা যায় না। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে। এই নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি দল হিসেবেই হারিয়ে যাবে।

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ ভালো থাকায় এবারের রমজানে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক ছিলো বলেও দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad