ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আ’লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রাধান্যে টেকসই উন্নয়ন

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
আ’লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রাধান্যে টেকসই উন্নয়ন আওয়ামী লীগের লোগো

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনকে প্রধান্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের ইশতেহার দেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকারের করণীয় সম্পর্কে দিক-নিদের্শনা থাকবে ইশতেহারে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নির্বাচনী ইশতেহারে নতুন কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রের যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এবারের ইশতেহার তৈরি করা হবে।

এই ইশতেহারে ব্লু –ইকোনোমির (সমুদ্র অর্থনীতি) বিষয়টি যুক্ত হবে।

এছাড়া পুষ্টি, তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি, জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, যুবসমাজকে শিক্ষিত ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত করার বিষয় ইশতেহারে তুলে ধরা হবে। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেগা প্রকল্পকে ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব বিষয় আগামী দিনে সরকারের অগ্রাধিকার কাজ হিসেবে ইশতেহারে উল্লেখ করা হবে।

আওয়ামী লীগ নেতারা আরো জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ৯ বছরে সরকারের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই দেশ খাদ্যে স্বংয়সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন জরুরি কাজ হচ্ছে পুষ্টি নিশ্চিত করা। পুষ্টির যোগান বাড়ানো এবং নিশ্চিত করার বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে আগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর সমুদ্রের বিশাল জলরাশির অধিকারী হয়েছে বাংলাদেশ। এই সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে ব্লু -ইকোনোমি বলা হচ্ছে। এই সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগানো, সমুদ্রের তলদেশের সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের অর্জন সম্ভব। ইশতেহারে এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে তুলে ধরা হবে বলে নেতারা জানান।

দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে এবং জনসংখ্যার একটি বড় অংশ শিক্ষিত যুবসমাজ। যুব সমাজকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়েও ইশতেহারে দিক-নির্দেশনা থাকবে। এছাড়া টেকসই উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন জরুরি। এ কারণে আগামীতে এ খাতকে আরো গুরুত্ব দিয়ে করণীয় সম্পর্কে ইশতেহারে ঘোষণা থাকবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা আরো জানান, বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকারের দুই মেয়াদে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অনুরূপভাবে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে টেকসই উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর এই এসডিজি নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপগুলোর দিক-নির্দেশনা আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।

তবে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। চলতি বছর ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করবে আওয়ামী লীগ। সে অনুযায়ী অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু হবে বলে নীতিনির্ধারক নেতারা জানান।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ইশতেহার তৈরির কাজ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি। সাধারণত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ীই ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু হবে। উন্নত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য তার আলোকে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ইশতেহার দেওয়া হবে। দলের ঘোষণা পত্রের আলোকেই নির্বাচনী ইশতেহার হবে। ইশতেহারে আমরা ব্লু -ইকোনোমি নিয়ে আসবো। খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। এখন পুস্টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। আইসিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যুবসমাজকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।