ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা চেষ্টায় লিপ্ত বিরোধীদল

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা চেষ্টায় লিপ্ত বিরোধীদল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নত রাষ্ট্রে তৈরি হচ্ছে। আর এটা বিরোধীদল মেনে নিতে পারছে না বলেই তারা ষড়যন্ত্র করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানিদের মতো করে হত্যা চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। হুমায়ুন আজাদকে হত্যা এবং জাফর ইকবালের ওপর হামলা তারই প্রমাণ বলে মন্তব্য করলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকেলে জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জেলহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধপরাধীদের বিচার করছে দেখে বিরোধী দলের তা সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা এর প্রতিবাদ করতেই যেনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করতে ইচ্ছুক। তারই রূপরেখা জাফর ইকবালের ওপর হামলা। তবে বর্তমান সরকার আগেও যেমন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলো, এখনো আছে এবং থাকবে।

খালেদা জিয়ার নতুন আইনজীবী নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়ার) নিজস্ব আইনজীবীর ওপর ভরসা নেই দেখে এখন লন্ডন থেকে আইনজীবী আনা হচ্ছে। আর যাকে আনা হচ্ছে, তিনিও তো ৭১’ এর ঘাতক। তখন এ আইনজীবীর সঙ্গে লবিং করেছিলেন মীর কাশেম, আর এখন খালেদা জিয়া।

আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে। আপনারা মাঠে আসুন। আমার কাউকে জেলে দেখতে চাই না, আমরা একসঙ্গে খেলতে চাই। আর সে খেলায় গোল আমরাই দেবো।

সমাবেশে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম, থাকবো।  
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪ দলের গণসমাবেশে জোটের নেতারা
এ সময় তিনি জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করেন।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এটি কোনো নতুন ব্যাপার না। এ ধরণের কার্যক্রমের জন্য বিএনপি-জামায়াত অনেক আগে থেকেই মানুষের কাছে পরিচিত। নির্বাচনের আগে জাফর ইকবালের ওপর হামলার মতো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এটি তাদের বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।

তিনি বলেন, তারা যে এগুলো ধর্মের নামে করে, তা পুরোপুরি মিথ্যা। এগুলো হলো ধর্মের নামে ভণ্ডামি। আর এ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিএনপির আমলেই লালিত-পালিত ও পুষ্ট হয়েছে।

আয়োজনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ শিরিন আক্তার বলেন, যে মুহূর্তে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সময় বিরোধী দল ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে এগিয়ে নিচ্ছে।

সমাবেশে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জঙ্গিবাদের গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।  

তিনি বলেন, আগে মাওলানা আব্দুর রহিম ছিলেন জঙ্গিবাদের প্রধান, আর তারপর জিয়াউর রহমান। সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের গডফাদার হয়েছেন খালেদা জিয়া।

বিকেলের এ সমাবেশে ১৪ দলের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন নেতা-নেত্রীসহ স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।