ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি’র সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
‘বিএনপি’র সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়’ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও অন্য অতিথিরা

ঢাকা: বিএনপিতে যারা রাজনীতি করেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ নয়। দেশপ্রেমিক কিছু ভালো মানুষ আছেন যারা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব মেনে নেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন কামরুল।  

মন্ত্রী বলেন, একজন (খালেদা জিয়া) গরিব-এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে আদালতের রায়ে কারাগারে রয়েছেন।

আরেক ফেরারি আসামি (তারেক জিয়া) এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। এই নেতৃত্ব সবাই মেনে নেবে না। এরকম সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপিতে ভাঙন শুরু হবে। তা মাত্র সময়ের অপেক্ষা। বিএনপি নামক এই সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব বিলিন করতে আওয়ামী লীগের বা সরকারের কোনো ভূমিকার প্রয়োজন হবে না। আর তা সরকার করবেও না।  

দেশে গণতন্ত্রের চর্চা সফলভাবেই হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকলে বিএনপির মতো সন্ত্রাসী দল কিভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে? আজ তারা কিভাবে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে? মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এসব সুষ্ঠু গণতন্ত্রের ফসল। অথচ তারা বলছে দেশে নাকি গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। মিথ্যাচার ছাড়া আর কোনো অস্ত্র নেই বিএনপির কাছে।  

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি-না তা আমরা জানি না। তা নিশ্চিত করবেন আদালত। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনও চাইছেন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। কিন্তু তা হবে না। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে করবেন, না চাইলে করবেন না, তা আপনাদের ব্যাপার। তবে এ বিষয় নিয়ে বা যে কোনো ইস্যু নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে সরকার ও প্রশাসন কোনোভাবেই তা বরদাস্ত করবে না।  

খালেদা জিয়ার সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে খালেদা জিয়ার এ শাস্তি আমাদের জন্য লজ্জাস্কর। তবে অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই। তারই প্রমাণ বিএনপি চেয়াপারসনের ৫ বছরের কারাদণ্ড। আর এ মামলা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছে। তারা এতোদিন মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করেছেন, তার একমাত্র কারণ নির্বাচনের মাঠ গরম করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে।  

সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামসুল হক টুকু, অরুপ সরকার রানা, জাকারিয়া হানিফসহ অন্য নেতারা।  

এ সময় বক্তারা ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না’ শীর্ষক আলোচনা করেন এবং রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অ্যাড. গাজীউল হকের অবদান ও নেতৃত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।