ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

রংপুরে নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে ‘কন্ট্রাডিকশন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
রংপুরে নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে ‘কন্ট্রাডিকশন’

ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতারা দুই ধরনের কথা বলে নিজেদের মধ্যকার ‘সেলফ কন্ট্রাডিকশন’ প্রকাশ করেছেন বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের।

তিনি বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে ফখরুল এক কথা বলছেন আর রিজভী আরেক কথা বলছেন। এক দলে দুই ধরনের বক্তব্য।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের শোকসভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ শোকসভার আয়োজন করে নোয়াখালী জেলা সমিতি।

বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজারে গুঞ্জন আছে তাদের মধ্যে একজন তারেকের লোক, আরেকজন খালেদা জিয়ার লোক। তাহলে কি তাদের দুজনের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে মূল্যায়নের? তাহলে রিজভী এক কথা, ফখরুল আরেক কথা বলবেন কেন? এক দলের দুই কথা কী করে হয়?

বিএনপির মধ্যে ‘সেলফ কন্ট্রাডিকশন’ রয়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আসল বিষয়টা হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে সুষ্ঠু নির্বাচন আর না জিতলে সূক্ষ কারচুপি! নারায়ণগঞ্জের মতো রংপুরেও নির্বাচন ফেয়ার হয়নি এমন কথা একজন লোকও এখনো বলতে পারেননি। কোনো পর্যবেক্ষক, কোনো সমালোচক বিরূপ সমালোচনা করতে পারেননি।

নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ধন্যাবাদ জানাতে না পারাটাও বিএনপির কন্ট্রাডিকশনের কারণ বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদ জানিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে পারেনি। ফখরুল সাহেব বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, আবার বলছেন কমিশন ব্যর্থ। তাহলে এটাও সেলপ কন্ট্রাডিক্টরি।

জাতীয় নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচনের মাধ্যমে কোন টোপ ফেলা হলো কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি টোপ ফেলা বলব না। বিএনপি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজেদের সম্পর্কে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। তারা কাউকে ২৫ সিট দিচ্ছে, আমাদেরকে কখনো ৩০ সিট কখনো ৪০ সিট, এই যে একটা অহম, এইটা এখন ভাঙবে। জাতীয় নির্বাচনে এটা একটা তাদের জন্য বার্তা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনটা এত ভালো একটা নির্বাচন হয়েছে, তারা বলেছে সরকার হস্তক্ষেপ করবে, সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। এটা কি আমাদের রাজনৈতিক বিজয় নয়? নির্বাচনের দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন প্রশাসনকে জানাতে যে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে চাই। এখানে হস্তক্ষেপের কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগের কোনো কারণও নেই, এটা কি রাজনৈতিক বিজয় নয়?

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা, এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা, এর জন্য দলীয় ফোরাম আছে। দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনার আগে আমি এই ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না।

শোক সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আনিসুল হক ছিলেন একজন মৃদুভাষী, সর্বদা হাসি খুশি মানুষ। তিনি বহুমুখী চিন্তা ও প্রতিভার মানুষ, অসীম গুণের অধিকারী। তিনি নোয়াখালীতে জন্ম নিয়েছেন কিন্তু ঢাকায় তিনি সবার ছিলেন। তার মৃতুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।

নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সহ-সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মনজু, আব্দুল হাই প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।