ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

‘বন্দুকের নল ধরে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
‘বন্দুকের নল ধরে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে’ প্রেসক্লাবে মহিলা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী- ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বন্দুকের নল ধরে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মালায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

আওয়ামীলীগ দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে টার্গেট করে ধ্বংস করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী আহমেদ বলেন, নিজের খবরদারী, নিজের কর্তৃত্বকে নিরঙ্কুশ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি আদালতকে তিনি তার প্রতিপক্ষ মনে করলেন। ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে, কয়েকটা অবজারভেশন, আওয়ামীলীগ এবং তাদের সরকার প্রধান মনে করলেন ওরে বাপরে, এটাতো সাংঘাতিক বিষয়।
 
বিএনপির এই মুখপাত্র আরো বলেন, তারা পার্লামেন্টে প্রধান বিচারপতিকে গালাগালি করেছেন। পৃথীবির কোথাও দেশের প্রধান বিচারপতিকে এতো নোংরা এবং এতো কুশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে পারে, সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীরা এটার কোনো নজির নেই। সেই নজিরও আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে।  

তিনি বলেন, আমার দেখলাম প্রধান বিচারপতি কিছুদিন আগে ছুটি কাটিয়ে দেশে এসে উনার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন, আবার উনি নাকি ছুটি নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের ছুটি নিতে পারেন। ছুটি নিলেতো আগেই নিতে পারতেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে তিনি যখন কানাডা, জাপান গেলেন তখনই নিতে পারতেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এটাও কি জনগণের জানতে বাকি আছে, যে উনি ছুটি নিয়েছেন না তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে, জোর করে, হুমকি দিয়ে বন্দুকের নল ধরে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে’।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি কোনো কথা বলেন না। কথা বলেন কে, আইন মন্ত্রী আর অ্যাটর্নি জেনারেল। তারা সরকারের লোক, তারা দুজনই প্রধান বিচারপতির অফিসের লোক নন। তারা বলছেন তিনি ছুটি নিয়েছেন, তার ক্যান্সার হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো ডাক্তার বললেন না যে প্রধান বিচারপতির ক্যান্সার হয়েছে, অথচ আইন মন্ত্রী বললেন। আমরা জানি আইন মন্ত্রী আইনের লোক তিনি ‘ল’ পড়েছেন, উনি যে আবার কবে এমবিবিএস পড়েছেন এইটা আমাদের জানা ছিলো না। উনি সার্টিফিকেট দিলেন প্রধান বিচারপতির নাকি ক্যান্সার হয়েছে।

মানববন্ধনে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মহিলাদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭ 
এসআইজে/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।