ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় কুড়িগ্রামবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় কুড়িগ্রামবাসী ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় আসবেন তিনি।

এ উপলক্ষে জেলা শহর থেকে চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে শত-শত তোরণ। নানা স্লোগান ও দাবি সম্বলিত ব্যানারও টানানো হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এমপির।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন-খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এএম বদরুদ্দোজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি।

হতদরিদ্রদের মধ্যে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করবে সরকার। সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার পাঁচ মাসের জন্য এই কর্মসূচির সুফল পাবেন।

কুড়িগ্রাম জেলার নয় উপজেলার এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৯ পরিবার এ সুবিধার আওতায় আসবে। চিলমারী থেকে দেশব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরই মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে হেলিপ্যাড অবতরণের স্থান থেকে সমাবেশস্থলের মঞ্চসহ গোটা চিলমারীতে। এর হাওয়া লেগেছে জেলা শহরেও। হেলিপ্যাড অবতরণের জন্য চিলমারীর বাইরে কুড়িগ্রাম জেলা শহর ও উলিপুর উপজেলায় হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জেলাবাসীর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে নদ-নদীর ভাঙন রোধ, ড্রেজিং-এর মাধ্যমে নদ-নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, কুড়িগ্রাম-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু, কুড়িগ্রামে শিল্পাঞ্চল, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন ও আন্তর্জাতিক মানের চিলমারী নৌ-বন্দর চালু।

চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য চিলমারীবাসী উদগ্রীব হয়ে আছেন। ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দরটি আবার চালু করলে ও আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে নিঃস্ব চিলমারীর মানুষগুলো উপকৃত হবে।

কুড়িগ্রাম রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ নলেজ বলেন, দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নকশায় রেলপথ যুক্ত করলে ঢাকার সঙ্গে ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এছাড়া চিলমারী থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু, চিলমারী বন্দর বাস্তবায়ন, নদী খনন কাজ করলে বদলে যাবে কুড়িগ্রাম।

সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বলেন, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাবাসীর কুড়িগ্রাম জেলার সঙ্গে আছি এবং থাকব। কুড়িগ্রাম থেকে ভেঙে জামালপুরে যাব না। পৃথক করতে চাইলে আলাদা জেলার মর্যাদা দিতে হবে। এ দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানো হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস স‍ূত্র জানায়, মোট এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার এ কর্মসূচির সুফল পাবে। এরমধ্যে চিলমারী উপজেলার আট হাজার ২১ জন দরিদ্র পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম সদরে ১৭ হাজার ৭২২টি, নাগেশ্বরীতে ২৪ হাজার ২০টি, ভুরুঙ্গামারীতে ১৩ হাজার ৯৮৫টি, ফুলবাড়ীতে নয় হাজার ২৯৮টি, রাজারহাটে ১০ হাজার ৬০২টি, উলিপুরে ২৪ হাজার ২০৮টি, রৌমারীতে ১২ হাজার ৬৮৫টি ও রাজীবপুর উপজেলায় চার হাজার ৭৩৮টি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাল বিক্রির জন্য জেলায় ২৪৭ জন সম্ভাব্য ডিলারের মধ্যে ১২৬ জনকে ইতোমধ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জাফর আলী বলেন, দারিদ্র বিমোচনে নতুন কোনো কর্মসূচি নিলে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামেই তার উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১০ সালে ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেছিলেন কুড়িগ্রাম থেকেই।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচি সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এসআই/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।