ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘জঙ্গিদের জন্য খালেদার মায়াকান্না কেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬
‘জঙ্গিদের জন্য খালেদার মায়াকান্না কেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


‘জঙ্গিদের জন্য খালেদার মায়াকান্না কেন’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করে বাংলাদেশকে যখন আমরা আবারও একটা অবস্থায় নিয়ে এসেছি, তখন শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। আমরা দ্রুত জঙ্গিদের দমন করতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা গণভবনে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গুলাশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র ১০ ঘণ্টায় আমরা জঙ্গিদের দমন করতে পেরেছি। পৃথিবীর কোনো দেশ এরকম করতে পারে নাই।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিরা জীবীত ধরা দেয় না, গুলি খায়, মারা যায়। জঙ্গিদের জন্য খালেদা জিয়ার মায়া কান্না, মানুষ পোড়ানোর জন্যতো তিনি মায়াকান্না করেননি। খালেদা জঙ্গি দিয়ে মানুষ মারছে, এজন্য কি তার কান্না।

জঙ্গিদের জন্য তার (খালেদার) কান্না কেন, বিএনপির কান্না কেন- এর রহস্য আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিরা মারা গেলে তাদের মন কাঁদে, দেশের মানুষ এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। জঙ্গিরা যদি ধরা না পড়তো, না মারা যেত, তাহলে কত মানুষ তাদের হাতে মারা যেত। খালেদা কি এটাই চেয়েছিলেন- প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা।

যুদ্ধাপরাধীদের রায় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছে, মন্ত্রী বানিয়েছে, লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে, এরাই সবচেয়ে বড় রাজাকার, সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী। এদেরই বিচার হওয়া উচিত।

দেশবাসীকে এজন্য সোচ্চার হতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে জনগণ অভুতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো সরকার নেই যার আমলে আ’লীগ নেতাকর্মীরা জীবন দেয়নি, নির্যাতিত হয়নি। বাংলাদেশে যত ত্যাগ স্বীকার হয়েছে সবচেয়ে বেশি করেছে আওয়ামী লীগ নেতা। তৃণমূল আ’লীগ নেতাকর্মীরা সবচেয়ে সক্রিয় থাকে।

সরকার উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না- খালেদা এমন ঘোষণার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলন মানে মানুষ পোড়ানো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে, জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে। এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা একের পর এক ঘটনা ঘটাবে, আর আমরা বসে বসে তাদের মালা চন্দন দেব!  

যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতাদের বিচারে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা মা-বোনদের পাকিস্তান আর্মির হাতে তুলে দিয়েছিল, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের বিচার আমরা করছি। বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে।

এ বিচার নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন তোলার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এদের জন্য এত মায়াকান্না কেন? এত দরদ কেন?

যারা তাদের আপনজনকে হারিয়েছে, তাদেরও তো বিচার চাওয়ার অধিকার আছে।

২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কাউন্সিলকে সফল করার আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমই্এম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad