বুধবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ইভাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইভা উপজেলার মহিপুর থানার সেরাজপুর গ্রামের ইসমাইল ঘরামির মেয়ে। সে মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
ইভার চাচা ইউসুফ ঘরামী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইভার সৎ মা সালমা তার ঘর থেকে দৌঁড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশীরা সালমার ঘরে গিয়ে তার দেড় বছরের শিশু পুত্রকে দেখতে পেলেও ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিলনা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষপর্যন্ত ওই ঘরের দু’তলায় বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইসমাইল বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এমএস/টিএ