এটি হচ্ছে দেশের মানুষের ভরসাস্থল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নতুন ভবনের নিচতলার চিত্র। ভবনের বাইরে পার্কিং দেখতে অভ্যস্ত দেশবাসী এখানে এসে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন কীভাবে ভবনের ভেতরে বাইক রেখে দখল করা হয়েছে।
যে কর্তৃপক্ষ লাল নোটিশ বোর্ড টাঙিয়েছে বাইকগুলোও নাকি সেই কর্তৃপক্ষের লোকজনেরই। যে কারণে ৫ গজ দূরে গেটে পাহারারত আনসার সদস্যদের কোনোই তৎপরতা নেই। তাদের সামনে দিয়ে হরদম চলছে মোটরবাইক।
নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন মোটরসাইকেলগুলো হাসপাতালের চিকিৎসক ও কিছু স্টাফের। বাইরে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ওনারা হাসপাতালের ভেতরে মোটরবাইকগুলো পার্কিং করে রাখে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক শিগগিরই একটা ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশাপাশি কিছু স্টাফ সেখানে মোটরবাইকগুলো পার্কিং করে রাখেন। সকালের দিকে আমি নিজে গিয়ে বাইকগুলো পার্কিং করা অবস্থায় দেখতে পাই। হাসপাতালের ভেতরে পার্কিংয়ের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাইরে রাখার জন্য আমরা তাদের মোটরবাইকের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। সেই রকম ক্যাপাসিটিও আমাদের নেই। হাসপাতালের বাউন্ডারির ভেতর থেকে মোটরবাইক চুরি হচ্ছে বিধায় তারা এখানে রাখে। আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি। কিন্তু এটা হাসপাতাল, এখানে রাখা ঠিক না।
‘আমরা একটা পরিকল্পনা করছি, আশা করি শিগগিরই এটির সমাধান হবে। হাসপাতালে বাউন্ডারির ভিতরে পার্কিংয়ের স্থান খুঁজে সেটা টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। আশা করি খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।
ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্প্রতি অবসরে যাওয়া এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালের অফিস কক্ষ থেকে কার্পেট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কার্পেট থেকে জীবাণুগুলো বেশি ছড়ায়। কার্পেট থেকে যদি জীবাণু ছড়াতে পারে, মোটরবাইক বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়ায়, এতেও চাকায় অনেক জীবাণু বহন করে। তাছাড়া মোটরবাইকতো বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করে। গরুর গোবরসহ নানা রকম জীবাণু চাকায় লেগে থাকে। গোবর থেকে ৮০ শতাংশ টিটেনাস রোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এজেডএস/এসআই/এএ