ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্র সাকিবের মৃত্যু, ইনসেটে সাকিবের নিথর দেহ। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় স্কুলপড়ুয়া সাকিব হাসান (১৫)নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক ও কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৮ জুলাই) দিনগত রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথা হয়ে শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ীর সংলগ্ন ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত সাকিব হাসান শহরের ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আব্দুল আজিজ লিটনের ছেলে এবং শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।

 

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাক্ষেপে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ লিটন বাংলানিউজকে জানান, তার ছেলে সাকিব হাসান পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অ্যাপেন্ডি সাইটিস ধরা পড়ে। পরে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে বুধবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ছেলেকে তিনি অস্ত্রোপচারের জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেই অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে ছেলেকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। ডা. এ কে পাল ছেলেকে অপারেশন করান। অপারেশন থিয়েটার থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেলেকে বের করা হয়। তখন ছেলের দেহ নিথর মনে হয়। এভাবে কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর তিনি ছেলেকে নিয়ে শহরের কানছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে আবার ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফেরেন।

আব্দুল আজিজ লিটন ও মা পান্না আকতার অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের ভুলের কারণে তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা ছেলে হত্যার বিচার চান। এ ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক জন মণ্ডল ও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ কে পালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমবিএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ