রোববার (১৫ জুলাই) বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে সোমবার (১৬ জুলাই) সকালে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে ঈশ্বরদীর পদ্মা পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাহজাহান তানোর বাধাইড় ইউনিয়নের শিবরামপুরের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। তিনি জুমারপাড়া গলির মোড়ে মেসার্স শাহজাহান ট্রেডার্স ও মেসার্স নাবিলা ট্রেডার্সের কীটনাশক-সার ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া থানা যুবলীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গায়ের রঙ শ্যামলা। পরনে সবুজ হাফ হাতা শার্ট ও সুতি লুঙ্গি ছিল।
ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আঞ্জুমান ই মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মরদেহ পাবনা পুলিশ লাইন সংলগ্ন লাইব্রেরি বাজার এলাকায় দাফন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এছাড়া তানোর থানা থেকে তার ছেলের করা একটি নিখোঁজের জিডি পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে এখন তানোর থানা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, পরিবারের লোকজন তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় সোমবার তার ছেলে শফিকুল ইসলাম সরল তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এতে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই সকালে ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে মুন্ডুমালা বাজারে যান। সারাদিন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজ নিতে থাকেন। একপর্যায়ে তার মোরসাইকেল মুন্ডুমালা বাজারের হক এন্টারপ্রাইজের কাছে পাওয়া যায়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শাহজাহানের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন পরিবার চাইলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার মরদেহ আনা হবে। এছাড়া কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এসএস/টিএ