মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে পাঁচগাছিয়া স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বহুমুখী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে পাঁচগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বহুমুখী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি বিল্ডারস ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে। বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের পথে। কাজ পাওয়ার পর থেকেই নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ করায় এলাকার স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ জনপ্রতিনিধি ও অন্যদের জানিয়ে প্রতিকার দাবি করেন।
ঘটনার দিন বহুমুখী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন আশ্রয়ন কেন্দ্রের রাস্তায় নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঢালাই চলাকালে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিকসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শিডিউল অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন।
স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে স্কুলের মূল ফটক ভেঙে যায়। এতে স্কুলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। এরইমধ্যে স্কুলের মাঠ থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি টিউবয়েলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যায়।
এছাড়াও স্কুলের মাঠটি নির্মাণ সামগ্রী রাখায় খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বার বার বলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে একপর্যায়ে স্কুলের অর্থ ব্যয়ে মাঠটি সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করা হয়।
পাঁচগাছিয়া এ জেড খান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফকির আহাম্মদ ফয়েজ জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে স্কুলের মাঠ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবিষয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন অধ্যক্ষকে দফায় দফায় প্রতিকারের দাবি জানায়।
স্থানীয় শামীম মজুমদার জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তাই বিক্ষুদ্ধরা নিম্মমানের কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ লোকজনকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান জানান, রাস্তাটির নির্মাণ কাজে সামান্য ক্রটি ও স্কুলের ফটকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এসএইচডি/জেডএস