মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। যারা শনাক্ত হচ্ছেন কেবল তাদেরই গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোটা আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
কোটা আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা ‘মিন’ করেন। ছাত্রদের বলবো আপনারা যা চিন্তা করছেন তা ছেড়ে দেন। ছাত্রদের প্রতি আমাদের যথেষ্ট দায়িত্ববোধ রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। তিনি সবকিছু সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করেন। কোটা নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। আশা করি এটিরও সমাধান হয়ে যাবে।
ডিআইজি মিজান প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে অপরাধ করে তাকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। মিজান অন্যায় করেছেন এটা নিয়ে ইনকোয়ারি হচ্ছে, প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিচার হবে।
অধ্যাপক হারুন অর-রশিদ বলেন, এক এগারোতে প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে অশালীনভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিলো তা দেখে এদেশের মানুষ ব্যাথিত হয়েছিলো। গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, তিনি মাথানত করবেন না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির জন্য সর্বপ্রথম আন্দোলন করেছিলেন। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যখন উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করা হয়েছিলো তখনতো আপনারা ক্লাস বর্জন করেননি। আমরা আজ লজ্জিত যারা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন তাদের সঙ্গে একই কাতারে মানববন্ধনে দাঁড়ান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস