সোমবার (২০ মে) বিকেল ৪টার দিকে লেনটি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধানে থাকা সেনাবাহিনীর ‘২০ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটেলিয়ন’।
লেনটি খুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবদুল আউয়ালসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেনাবাহিনী জানায়, লেনটি খুলে দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাম্প্রতিক যানজট নিরসব হবে এবং ওভারপাসের দুটো লেন চালু থাকায় নিচের রাস্তাটির খানাখন্দ মেরামত করতে সুবিধা হবে। মেরামতের পর নিচের রাস্তাটিতে পরিবহন চলতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।
ফলে আসন্ন ঈদুল ফিতর ও রমজানে মহাসড়কের ফেনী অংশের যানজট অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
নির্মাণসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আমিন কন্সট্রাকশনের প্রকল্প প্রধান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো ওভারপাসটিই খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যানজট নিরসনে মহাসড়কের এ অংশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিপু বিপিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু তিন বছরে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি তারা।
কর্মীদের গাফিলতি ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের কারণে একপর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠান কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আল আমিন কনস্ট্রাকশন নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হলে গত বছরের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওভারপাসটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রকল্প প্রধান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ওভারপাসটির দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৭৯ মিটার। অ্যাপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য ৭৫৫ মিটার, এরমধ্যে ঢাকার দিকে ৩৪৭ মিটার, চট্টগ্রামের দিকে ৪০৮ মিটার। তাছাড়া গার্ডার রয়েছে ৩০টি, পিলার ৮টি ও পাইল ৪৯০টি। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এসএইচডি/এনএইচটি