এছাড়া অসংখ্য গাছা-পালা ভেঙ্গে পড়েছে, কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফের শিলাবৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর, বিয়াঘাট, খুবজিপুর ও ধারাবারিষা ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম এবং সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি।
দীর্ঘক্ষণ ধরে শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারণে এসব এলাকার উঠতি বোরো ধান, আম, তরমুজ এবং লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আম ও লিচু বাগান মালিকরা।
সিংড়ার বিলদহর গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিগত কয়েক দফা শিলাবৃষ্টির কারণে তাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিবিঘা ধানের উৎপাদন গতবারের তুলনায় এবার কম হবে। কারণ চলনবিলের প্রায় ৮০ ভাগ বোরো ধান পেকে গেছে। সময় মতো ঘরে ধান তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কৃষকরা চিন্তায় আছেন। তাই অনেকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে আগেই আধা-পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন।
গুরুদাসপুরের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আতহার আলী স্থানীয় আম বাগান মালিক ও লিচু চাষিদের বরাত দিয়ে জানান, শিলাবৃষ্টির কারণে আম, লিচু ও তরমুজের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যবসার উদ্দেশে যারা আম ও লিচুর বাগান কিনেছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে টাকাই তুলতে পারবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা রাতেই খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার হাতে রিপোর্ট পেলে ক্ষয়ক্ষতির আসল খবর পাওয়া যাবে।
শিলা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধান ও লিচুর কিছুটা ক্ষতি হবে। সার্বিক উৎপাদনে তেমন বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেও আশা করছেন তিনি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম নিতাই কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রাতেই মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। তাদের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এসআই