ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাথর কোয়ারিতে ৬ জনের নিহতের ঘটনায় মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
পাথর কোয়ারিতে ৬ জনের নিহতের ঘটনায় মামলা পাথর কোয়ারির বাংলাটিলা

সিলেট: সিলেটের কানাইঘাটে লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে টিলা ধসে ৬ জনের নিহতের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (০৮ নভেম্বর) কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব মন্ডল বাদী হয়ে বাংলা টিলার ইজারাদার আহমেদ সোলেমানকে প্রধান করে ৮ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পাথর চাপায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় ৩০৪ ধারা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তাচ্ছিল্যপূর্ণ বা অসচেতনভাবে কাজে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় এ ধারায় মামলা হয়েছে। ৩০৪ দণ্ডবিধিতে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন।

এ ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আপাতত ৩০৪ ধারায় মামলা হয়েছে। তদন্তে অন্যকিছু এলে অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় আরও ধারা যুক্ত করার সুযোগ আছে।  

বুধবার থেকে জেলা পুলিশের গঠিত ৩ সদস্যের টিম ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে জানান পুলিশ সুপার। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিমও কাজ শুরু করেছে।  

নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর বুধবার বিকেলে কানাইঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জানিয়েছেন ওসি।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সকালে কানাইঘাট উপজেলার পূর্বলক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের লোভাছড়া পাথর কোয়ারির বাংলাটিলা এলাকায় পাথর উত্তোলনে গিয়ে টিলা ধসে ৫ শিক্ষার্থী ও এক যুবক নিখোঁজ হয়। দিনভর উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হলো- নাহিদ (১২), শাকিল (১৩), মায়রু (১৩), জাকির (১২), কাদির (১৪) ও সুন্দর আলী।  

নাহিদ ও শাকিলের বাবার নাম আলমাছ উদ্দিন। মায়রু ও জাকির সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মায়রুর বাবার নাম মোছাব্বির আলী ও জাকিরের বাবার নাম ইউনূস আলী। তাদের বাড়ি উপজেলার পূর্ব লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কান্দলা কোনাপাড়া গ্রামে। তারা কান্দলা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ আমিনুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ, আরডিসি কাজি আরিফুর রহমান। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই দিন সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।  

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এডিশনাল এসপি নুরুল আফসার ও আমিনুল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এনএই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।