বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালের সচিব শাহ কামাল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের একথা জানানো হয়েছে।
সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্তবর্তী কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে তিন হাজার একর এলাকা নিয়ে ক্যাম্প করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, খাদ্য সরবরাহ, সেনিটেশন, রেজিস্ট্রেশন, চিকিৎসা প্রদানসহ সকল কাজ সুচারুরূপে করার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত তিন দিন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আসেন মন্ত্রী।
সচিব বলেন, আমরা তাদের রিফিউজি (শরণার্থী) বলছি না। ইউনিসেফ কাজ করে যখন রিফিউজি ঘোষণা করে। আমরা বলছি আনডকুমেন্টেন্ড ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমারের নাগরিক’। এরা রিফিউজি নয়, এরা আমাদের এখানে আশ্রয়প্রার্থী। তাদেরকে আমরা একটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ফেরত পাঠাবো। এটা দেশ ও জনস্বার্থের জন্য। এখন পুরোপুরি নিবন্ধন ইউনিসেফের হাতে ছেড়ে দিলে রিফিউজি হিসেবেই চলে যাবে।
নিবন্ধন না হওয়া পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা বলা ঠিক হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পূর্ণ নিবন্ধনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। সকলকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে পারলে সঠিক সংখ্যা জানাতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭/আপডেট ১৩৫৫
এমআইএইচ/বিএস