ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যাওয়া কয়েদি স্বপন ছিল ‘উলফা কমান্ডার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১০

ঢাকা: রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি স্বপন সেন (৫৫) ছিলেন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফা’র একজন কমান্ডার।

তিনি বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন পয়েন্টে উলফা ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘ ৭/৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

সীমান্ত এলাকায় স্বপন সেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বপন বাড়ৈ ওরফে কমান্ডার বিটু নামে পরিচিত।

ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

এক বছর আগে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে যশোরের বেনাপোল থানাপুলিশ স্বপন সেন ওরফে কমান্ডার বিটুকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এক বছর ধরে খুলনার কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আবু মুসা বাংলানিউজকে জানান, কয়েদি স্বপন সেন গত আগস্ট মাসে খুলনা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৯ অক্টোবর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার কারা কর্তৃপক্ষ স্বপন সেনকে ২৭ অক্টোবর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর মৃত্যু ঘটে।

খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ  ময়নাতদন্তের জন্য স্বপনের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠান। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনি চাকমার উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

সোমবার ডা. এস, এ, যোবায়েরা বেগমের তত্ত্বাবধানে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ কারারক্ষী জাকারিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উলফা কমান্ডার স্বপন সেনের মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ সংরক্ষণাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভারত থেকে আত্মীয়-স্বজনেরা এসে স্বপনের মৃতদেহ নিয়ে যেতে কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে কারাসূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।