ঢাকা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’। মূলত এ কাব্যগ্রন্থটির সূত্র ধরেই বাংলা সাহিত্য সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করে।
গীতাঞ্জলির ‘গীত’ অর্থ গান আর ‘অঞ্জলি’ অর্থ ভক্তি। ১৫৭টি ভক্তিমূলক গান সংকলিত হয়েছে গীতাঞ্জলিতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ গানগুলো রচনা করেছিলেন ১৯০৮ থেকে ১৯০৯ সালে । আর গ্রন্থটির প্রকাশকাল ১৯১০। এদিক থেকে ২০১০ সাল ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকাশের শতবর্ষ পূর্তির বছর।
পরবর্তীকালে ১৯১২ সালে কবি নিজে এ গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির জন্য রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
সোমবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্পাদনা অণুবিভাগ ‘গীতাঞ্জলি’র শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সার্কিট হাউজ রোডের নিজস্ব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার হারুন উর রসিদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এমন এক বিস্ময়কর প্রতিভা, যার ছোঁয়ায় গোটা জাতি বিশ্বে সম্মানিত আসন অধিকার করে আছে। ’
অনুষ্ঠানের সভাপতি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ অজ্ঞাত, অখ্যাত বাঙালিকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করে দিয়েছেন। ’
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রূপশ্রী চক্রবর্তীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে গীতাঞ্জলি থেকে সঙ্গীত পরিবেশন ও আবৃত্তি করে শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী রাকা চৌধুরী, সুবর্ণা শীল, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক ড. মোহাম্মদ হাননান, সচিত্র কিশোর মাসিক পত্রিকা নবারুণের সম্পাদক হামিদা খানম ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময় : ২০৪৫, নভেম্বর ০১, ২০১০