ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ফের হাইকোর্টে আসতে হবে শিবগঞ্জ আ’লীগ সভাপতিকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
ফের হাইকোর্টে আসতে হবে শিবগঞ্জ আ’লীগ সভাপতিকে

ঢাকা:  হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগের ঘটনায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিজুল হককে স্থানীয় জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত নিয়ে ফের হাইকোর্টে আগামী ২৭ মে (রোববার) হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 
ওই ঘটনায় আদালতের তলবে হাজির হওয়ার পর রোববার (২০ মে) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


 
আজিজুল হকের পক্ষে আইনজীবী লায়েকুজ্জামান মোল্লা শুনানি করেন। রিট আবেনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
 
মনজিল মোরসেদ জানান, ওনার (আজিজুল হক) আইনজীবী ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আদালত ভৎসনা করে বলেছেন- আগে স্থানীয় জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসুন। আর এটার প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত (ছবি) নিয়ে রোববার আদালতে হাজির হন। তারপর আপনার ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।  

১৩ মে হাইকোর্ট আজিজুল হককে তলব করেছিলেন। ওইদিন মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, শ্মশান দখল করা নিয়ে ২০১৬ সালের ২৬ জুন একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট করে। এ রিট আবেদনে ওই বছরের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে। এ রুলের ওপর শুনানিতে ১৩ মে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তলব করা হয়।  
 
‘শতবর্ষী শ্মশান দখলে আওয়ামী লীগ নেতা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে শ্মশানের একাংশে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সেখানে মার্কেট নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে’।
 
সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে চলছে এই দখল কার্যক্রম। করতোয়া নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে এই শ্মশানের পাশে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন একটি বটগাছ ছিল। তার নিচে চলতো হিন্দুদের পূজা-অর্চনার কাজ। সম্প্রতি ঝড়ে গাছটি ভেঙে পড়লে শ্মশানের দক্ষিণ ভাগের অংশটি ফাঁকা হয়ে যায়। পাশে একটি সাইনবোর্ডে লেখা, বানাইল মহাশ্মশান, বানাইল পৌর এলাকা, শিবগঞ্জ, বগুড়া। প্রতিষ্ঠা ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সত্কার করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad