ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫২) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
মাথার ওপর বিদুৎ চমকায়। এমনভাবে বাজ পড়ছে যেনো আকাশের ওপর কেউ একজন ভারী সব আসবাবপত্র নাড়াচাড়া করছে।

এই! আমার মনে হচ্ছে কেউ একজন একটা ওয়্যারড্রব ফেলে দিলো! খুব জোরে একটা শব্দ হওয়ার পর, জ্যাক বলে!

আর সিঁড়ির নিচে একটা গ্রান্ড পিয়ানো বাজছে! আরেকবার গুড়গুড় করে শব্দ হওয়ার পর জ্যাক বলে। সবাই হেসে ওঠে।

সত্যিই, বজ্রঝড়টা হুবহু আসবাবাপত্র ছোড়ার মতো শব্দ করতে থাকে।

জ্বলজ্বল করে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, সেই ঝলকে উইলো বাড়ির ভেতরটা আলোকিত হয়ে উঠছে। নোরা বুঝে উঠতে পারে না এটা তার পছন্দ হচ্ছে কিনা। সে মাইককে জড়িয়ে ধরে। আমার অল্প অল্প ভয় করছে, সে বলে।  

বোকার মতো কথা বলো না! মাইক বলে। তুমি ওই বাদুড় দেখে ভড়কে যাওয়া বেড়াতে আসা নারীর মতোই পচা! এতে ভয়ের কিছু নেই। ঝড় প্রকাণ্ড একটা জিনিস। আমরা এখানে খুবই নিরাপদ।

ঝড় হলো আবহাওয়ার একটু আধটু শোরগোল! জ্যাক হাসে। খুশি হও, নোরা। আমরা সবাই ঠিক আছি। ভাবতে পারো গাভী ডেইজি নও বলে তুমি খুবই ভাগ্যবান। অন্তত, আমরা জানি ঝড় হলো কেবলই একটি ঝড়, কিন্তু ওর তা জানা নেই।

মড়মড়! গমগম! গুড়গুড়! দূরে বজ্র একটানা গর্জন করেই যাচ্ছে, আর আকাশে সব ধরনের আসবাব আছড়ানো হচ্ছে এটা আবিষ্কারের পর, প্রতিবার শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারা সেটা নিয়ে কৌতুক করছে। বিদুৎ চমকাবার পর, প্রতিবার আলোর ঝলকানির সঙ্গে সঙ্গে জ্যাক বলছে, অনেক ধন্যবাদ! আকাশটা দিয়াশলাই ঠুকছে, আর বাতাস সেটা নিভিয়ে দিচ্ছে!

কথাটা শুনে নোরাও হেসে ওঠে এবং শিগগিরই সে ভয় পাওয়ার কথা ভুলে যায়। অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। এবং একটা বিষয়ই কেবল জ্যাককে বিচলিত করে ওরা যেখানটায় বসে রয়েছে বৃষ্টির জল উপচে এসে উইলো বাড়ির সেই মেঝেটা ডুবিয়ে দেবে কিনা। তবে সবকিছু ঠিকই থাকে। বৃষ্টি একটুও ভেতরে ঢুকতে পারে না।  

ধীরে ধীরে ঝড়টা পড়ে যায় এবং এরপর কেবল গাছগাছালির ওপর থেকে টুপটাপ করে ঝরে পড়া তরল শব্দের সুর শুনতে পাওয়া যায়। বজ্রের শব্দ দূর থেকে আরো দূরে সরে যায়। শেষবারের মতো বিদ্যুৎ চমকায়। তারপর ঝড় থামে।  

এবার আমাদের কিছু একটা খেয়ে এককাপ করে দুধ খেতে হবে। তারপর শুতে যাওয়া যাবে, জ্যাক বলে। আজকের মতো যথেষ্ট উত্তেজনা পাওয়া গেছে! এবং গতরাতে আমি আর মাইক খুব দেরি করে ফিরেছি তাই আমি নিশ্চিত ও ঘুমে ঢলে পড়ছে। আমি আমার কথা জানি।

পেগি সাবার জন্য সামান্য খাবার নিয়ে আসে, খাবার পর সবাই ডেইজির সরওয়ালা দুধ পান করে। তাপর মেয়েরা উইলো বাড়ির পেছনের ঘরে যায় এবং সেখানকার গরম ফার্নের ওপর আরাম করে শুয়ে পড়ে। এবং ছেলেরা সামনের কক্ষে শোয়। আধমিনিটের মাথায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে! 

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad